28 C
Dhaka
Friday, April 26, 2024

শারুনকে স্বামী পরিচয় দিতেন মুনিয়া

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার নতুন মোড় নিয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক বেরিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে, মুনিয়া শারুনকে স্বামীর পরিচয় দিয়েছিলেন।

এরকম একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠানে মুনিয়া গিয়েছিলেন শারুনকে নিয়ে যেখানে তিনি শারুনকে তার স্বামী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এরকম অন্তত তিনজন ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, শারুনকে মুনিয়ার স্বামী হিসেবে তারা জানতেন।

শারুনের স্ত্রীর তার থেকে চলে যাওয়ার পর শারুন একাধিক নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন বলে জানা যায় এবং এই সমস্ত নারীদের প্রায় সবাইকেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ে করেনি। 

এরকম একটি পরিস্থিতিতে মুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় শারুনের। মুনিয়া ঢাকায় এসেছিলেন যুবলীগ নেতা, যিনি ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের হাত ধরে এবং সম্রাটের রক্ষণাবেক্ষণে তিনি ঢাকায় থাকতেন।

যখন সম্রাট গ্রেফতার হয়ে যান তখন মুনিয়া আর্থিক এবং মানসিক দুটিভাবেই বিপন্ন হয়ে পড়েন। এ সময় শরণের সঙ্গে পরিচয় হয় মুনিয়ার। সে সময় শারুনও ছিলেন একাকী এবং কিছুটা বিপর্যস্ত।

আর দুজনের মধ্যে সখ্যতা হতেও সময় লাগেনি। এর পরপরই মুনিয়ার দায়িত্ব তুলে নেন শারুন।  শারুনকে মুনিয়া নিয়মিত সঙ্গ দিতেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন। এরকম অন্তত তিনটি অনুষ্ঠান পাওয়া গেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, মুনিয়া এবং শারুন একসঙ্গে গেছেন। 

মুনিয়ার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর যারা এই অনুষ্ঠানগুলোতে গেছেন তারা দেখেন যে, মুনিয়া মারা গেছেন। তখন প্রথম তারা জানেন যে মুনিয়া অবিবাহিত। এর আগে তারা জানতেন যে শারুনই মুনিয়ার স্ত্রী।

একজন বলেছেন যে, শারুন নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে মুনিয়া তার স্ত্রী। কিন্তু নানা রকম সামাজিক বাস্তবতার কারণে এখন তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছেন না।

ধারণা করা হচ্ছে যে, মুনিয়াকে মৌখিকভাবে বিয়ে করলেও এই বিয়ের স্বীকৃতি এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য মুনিয়া শারুনকে চাপ দিচ্ছিলেন। এনিয়ে দুজনের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল।

শারুনের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাতে মুনিয়াকে বিয়ে করে সংসার করার মত পরিস্থিতি তার ছিলো না। আর সে কারণেই মুনিয়ার সঙ্গে পরবর্তীতে একটা দূরত্ব তৈরি করেছিলেন শারুন।

কিন্তু এ সময় মুনিয়া বিভিন্ন মহলের কাছে শারুনের ব্যাপার নিয়ে মুখ খুলেন এবং শারুন তার খোঁজ খবর নিচ্ছে না, তার দেখভাল করছেন না এমন চাপ প্রয়োগ করেন।

এই সময় মুনিয়া যেনো শারুনের কাছ থেকে দূরে থাকে এই জন্য মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়ার দ্বারস্থ হন শারুন এবং নুসরাত তানিয়ার সঙ্গে তার একটি লেনদেনের সম্পর্ক তৈরি হয়।

যেখানে মুনিয়াকে শারুন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ পাবেন বলে শারুন প্রতিশ্রুতি দেন। এই প্রতিশ্রুতি পরপরই মুনিয়ার মৃত্যু ঘটে। মুনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি আসলে বিষদ তদন্ত করা দরকার।

বিশেষ করে নুসরাত এবং শারুনের ভূমিকা এখানে কতটুকু সেটি বিচার বিশ্লেষণ করা দরকার। কারণ বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন যে, মুনিয়ার মৃত্যুর পর নুসরাত যে আচরণ করেছেন তা রহস্যময়।

তার ভেতরে শোক বলে কোন কিছু ছিল না। বরং অন্য কারো কিছু বুঝার আগেই তিনি এই মামলার উদ্যোগ নেন। এখান থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই ঘটনায় হয়তো নুসরাত এবং শারুনের একটা যোগসাজস ছিল।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর