29 C
Dhaka
Friday, April 26, 2024

মুনিয়ার আত্মহত্যা: ৩ টি প্রশ্নের মধ্যে পুরো রহস্য লুকিয়ে আছে

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, গুলশানে মুনিয়ার আত্মহত্যার পরপরই পুলিশ আসার আগে, দলবল নিয়ে সেই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেছিলো নুসরাত জাহান তানিয়া।

এরকম স্পর্শকাতর বিষয়ে পুলিশ আসার আগেই কেনো প্রবেশ করলো নুসরাত? ভেতরে প্রবেশ করে কোনো আলামত লুকালেন কি না নুসরাত? এসব প্রশ্ন নিয়ে পুলিশি অনুসন্ধান এগিয়ে চলছে।  

এছাড়া, মোসারাত জাহান মুনিয়া, নুসরাত জাহান তানিয়া এবং নুসরাতের স্বামী মিজানের ব্যাংক একাউন্ট ও সাম্প্রতিক সময়ে লেনদেন খতিয়ে দেখা উচিত।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, তাদের আর্থিক সামর্থের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ লেনদেন হয়েছে তাদের একাউন্টে। বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, মুনিয়ার একাউন্টে বেশ বড় অঙ্কের টাকা ছিলো।

যার উত্তরাধিকার বা নমিনি হিসেবে আছে নুসরাতের নাম। মুনিয়ার মৃত্যুতে সেই টাকার মালিকও এখন নুসরাত।অনুসন্ধানে এই দিকগুলোর দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর বাইরে, নুসরাত-মুনিয়া-শারুন ও নুসরাতের স্বামী মিজানের কললিস্ট ও কথপোকথন পরীক্ষা দাবি উঠছে। তার কারণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া মুনিয়া ও শারুনের চ্যাটিং এর স্ক্রিনশট।

যেখানে দেখা যাচ্ছে, নুসরাত ও মুনিয়া দুজনেরই পরিচিত ছিলো শারুন এবং তাদের মধ্যে ছিলো অর্থনৈতিক লেনদেন।এসবের কারণ কি? কেনো অর্থনৈতিক লেনদেন? এগুলো খতিয়ে দেখা উচিত।

সূত্র মতে, সবকিছুর নাটের গুরু নুসরাত।বোনকে কলেজ ছাত্রীর লেবাসে দামি ফ্ল্যাটে রেখে অবৈধ-অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে দেয়ার খলনায়িকা নুসরাত তানিয়া। মুনিয়ার ডাইরি সাক্ষ্য দিচ্ছে, টাকার জন্য নিয়মিত বোন মুনিয়াকে চাপ দিতো বড় বোন নুসরাত।

একজন কলেজ পড়ুয়া মেয়ে টাকা পাবে কোথায়? কি তার পেশা ছিলো? আর ডাইরিতে লেখা আছে, শুধু বোন নয়, বোনের জামাই মিজানও টাকার জণ্য চাপ দিতো মুনিয়াকে।

এমন কি এই বোন এবং দুলাভাইয়ের কারণে মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ এবং চাচাদের সাথে পারিবারিক দুরুত্ব তৈরি হয়েছিলো।

আছে মামলা মোকদ্দমাও। মুনিয়াকে অবৈধ কাজে ব্যবহার করে টাকা বানানোর মেশিনে রূপান্তরিত করার জন্য, তাকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে ঢাকায় এনেছিলো নুসরাত।

তথ্য ও অনুসন্ধান বলছে, ৩টি প্রশ্নের সমাধান হলে বেরিয়ে আসবে মুনিয়ার আত্মহত্যার আসল রহস্য।

এক. মুনিয়ার একাউন্টে কত টাকা ছিলো? তার উত্তরাধিকার কে ছিলো? 

দুই. নুসরাতের একাউন্টের লেনদেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। ১৬ হাজার টাকার সামান্য ব্যাংক কর্মচারি, নুসরাতের জীবন-যাপন আর ব্যাংক হিসেবে-নিকেশ রহস্যে ঘেরা।

তিন. সবশেষ দুই তিন মাসে নুসরাত-মুনিয়া-মিজানের কলরেকর্ড এ অনেক অজানা তথ্য লুকিয়ে আছে। এগুলো অনুসন্ধান করলেই অনেক কিছু বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর