একের পর এক গ্রেপ্তার হয়েছেন শোবিজ সংশ্লিষ্ট অনেকেই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসছে নানা ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এখন পিয়াসা-পরীমনির পৃষ্ঠপোষক ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে গুঞ্জন চলছে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার বিলাসবহুল গাড়িগুলোর মালিকানা নিয়েও চলছে খোঁজ।
এসব গাড়ির প্রকৃত মালিক কারা এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযানে কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার কাছ থেকে দুটি, অভিনেত্রী পরীমনির কাছ থেকে একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, পিয়াসার কাছ থেকে যে বিলাসবহুল দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে তার একটির মালিক তিনি। পরীমনির কাছ থেকে জব্দ করা গাড়িটি তার নামেই কেনা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে পিয়াসার বাসা থেকে বিএমডব্লিউ এস ২০৯ মডেলের সিলভার রঙের এবং মাজদা এক্সেলা ব্র্যান্ডের নীল রঙের গাড়ি জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, মাজদা এক্সেলা ব্র্যান্ডের নীল রঙের গাড়িটির মালিক পিয়াসা নিজেই। তার নামেই গাড়িটির নিবন্ধন। তবে পিয়াসার কাছ থেকে বিএমডব্লিউ এস ২০৯ মডেলের সিলভার রঙের যে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে, তার মালিক নন তিনি। গাড়িটির মালিকের জায়গায় ‘দি রিলায়েবল বিল্ডার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।
র্যাবের অভিযানে পরীমনির কাছ থেকে জব্দ করা হয় সাদা রঙের একটি হ্যারিয়ার গাড়ি। বিআরটিএ নথি বলছে, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৯৬৫৩ নম্বর প্লেটটি ইস্যু করা হয় ২০১৮ সালের ১৪ জুন। গাড়িটির মালিকের জায়গায় লেখা পরীমনি, এসি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। গাড়িটি ২০০০ সিসির। তবে গাড়ির মালিকের বাবা বা স্বামীর জায়গায় কোনো তথ্য নেই। গাড়িটি ২০১৪ সালে তৈরি।
গাড়িগুলোর মালিকানা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিআইডির জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা গাড়িগুলো প্রকৃত মালিক কারা, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে কোন গাড়ির মালিক কে।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট রাতে বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় কথিত মডেল পিয়াসা ও মৌকে। এরপর ৩ আগস্ট রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় শরফুল হাসান বা মিশু হাসান ও উজ্জ্বল জিসানকে। র্যাবের দাবি, এই দুজন নারী মডেল ও টিভি কর্মীদের টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করতেন।
মিশুর দেয়া তথ্যেই ৪ আগস্ট বিকেলে র্যাব অভিযান চালায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায়। সেখান থেকে বিদেশি মদ, আইস ও এলএসডিসহ আটক হন পরীমনি ও কথিত মামা আশরাফুল ইসলাম দিপু।
এ ছাড়া, একই দিন রাত ৮টার দিকে চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় র্যাবের আরেকটি অভিযানে মাদক ও পর্নোগ্রাফির সরঞ্জামসহ আটক হন রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলী।
সবশেষ ৬ আগস্ট গুলশান এলাকা থেকে ইয়াবাসহ আটক হন পরীমনির সহযোগী জোনায়েদ করিম জিমি।তাদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরচালান, অবৈধ অস্ত্রের কারবার, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক কারবার, বিদেশে অর্থ পাচার, শত শত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি গিয়ে গাড়ি আমদানিসহ নানা অভিযোগ আসছে।
বাংলা ইনসাইডার