26 C
Dhaka
Wednesday, May 8, 2024

নৌকাবাইচ দেখতে মধুমতির দুই পাড়ে লাখো মানুষের ঢল।

চাকুরির খবর

মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে মধুমতি নদীতে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে করতালি হর্ষধ্বনি আর কাশার ঘন্টার টং টং শব্দ, জারি-শারি, অস্টক গান আর নেচে-গেয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নদীর শান্ত জলধারা  অনেক দিন পর বৈঠার সংস্পর্শে আবার আন্দোলিত হলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে মধুমতি নদীতে অষ্টম বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা বাইচের আয়োজন করে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরা -২ আসনের সাংসদ, সাবেক যুব  ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার ।

নৌকা বাইচ দেখতে মহম্মদপুর উপজেলা সদরের  মধুমতি নদীর দুই তীরে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে। নদীর দুই পার মিলন মেলায় পরিণত হয়।

হাজার হাজার নারী পুরুষ ও শিশুরা বাইচ উপভোগ করে। নদীর উপর শেখ হাসিনা সেতুতে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার মানুষ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।

ছোট বড় বিভিন্ন আকারের ট্রলার, নৌকায় চড়ে দর্শনার্থীরা এ নৌকা বাইচ উপভোগ করেন। নৌকাবাইচ উপলক্ষে নদী তীরে মেলা বসে। নদীর দুইধারে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে এমনকি গাছে চড়েও নানা বয়সের দর্শনার্থীরা নৌকা বাইচ উপভোগ করতে দেখা যায়।

গোপালনগর ঘাট থেকে শুরু হয়ে থানা ঘাট এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার নদী পাড়ে কমপক্ষে এক লাখ  দর্শক উপভোগ করেন নৌকা বাইচ।নৌকাবাইচ উপলক্ষে নদীর দুই পাড়ে মেলা শুরু হয়েছে আরও দুই দিন আগ থেকে। মেলা চলবে আরও কয়েকদিন।

মেলায় মিষ্টি, শিশুদের খেলনা, নানা চারু-কারু পণ্য, প্রসাধনীসহ নানা পণ্যের কয়েকশ স্টল বসেছে। নদীতীরবর্তি গ্রামের প্রায় সব বাড়িতে নৌকাবাইচ ও মেলা দেখতে আত্মীয়স্বজন চলে এসেছেন।

আয়োজকরা জানান, এক সময় মধুমতি নদীতে প্রচুর পানি থাকতো। সে সময় এখানে নিয়মিত নৌকা বাইচ হতো। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে প্রায় এখানে নৌকা বাইচ নিয়মিত হয় না।

এ বছর স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এ নৌকা বাইচের আয়োজন করেছি।নৌকা বাইচ শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন মাগুরা -২ আসনের সাংসদ ও সাবেক যুব  ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম,  মহম্মদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফী, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিউজা উল জান্নাহ, মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল, অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন,  মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ বিপ্লব রেজা বিকো ও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিলনসহ অন্যরা।

তিন ক্যাটাগরিতে মাগুরা নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ,  মাদারীপুর, খুলনা ও পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার ২৮টি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।নৌকা বাইচে প্রথম স্থানকে ৩০ হাজার, দ্বিতীয় স্থানকে ২০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীকে ১৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার  ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর