38 C
Dhaka
Friday, April 26, 2024

দেশকে এগিয়ে নেয়ার কোনো আন্তরিকতাই তাদের ছিল না, এটাই হচ্ছে এদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য: প্রধানমন্ত্রী

চাকুরির খবর

অনলাইন ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ২১ বছর এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা সবসময় দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যায়, কিন্তু বাংলাদেশ সবসময় পিছিয়ে যাচ্ছিল।

(৯৬ সালের আগে) ২১টা বছর এবং  এরপরে ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল, দেশকে এগিয়ে নেয়ার কোনো আন্তরিকতাই তাদের ছিল না। এটাই হচ্ছে এদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য।

সোমবার (২১ মার্চ) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় দেশের বৃহত্তম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকার গঠন করি। সেসময় বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, সামান্য কিছু লোক বিদ্যুৎ পায়, গ্রামে গ্রামেতো বিদ্যুৎ ছিলই না। আমরা উদ্যোগ নিলাম, শুধু সরকারি না, বেসরকারি খাতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করব। মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাব।

১৫ শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম, ৫ বছরের মধ্যেই আমরা ৪ হাজার ৩ শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলাম। দুর্ভাগ্য আবার ২০০১-এ সরকারে আসতে পারি নাই। ২০০৯-এ যখন সরকার গঠন করি তখন দেখলাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে ৩ হাজার ২ শ মেগাওয়াট উৎপাদনে নেমে গেছে বিদ্যুৎ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান। এ ছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর পর এই প্রথম কোনো প্রকল্প উদ্বোধনে সরাসরি অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে এসে পৌঁছান।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।

এর মধ্য দিয়ে দেশে শতভাগ দূষণমুক্ত কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় এবং সারা বিশ্বে ১১তম দেশ।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর