36 C
Dhaka
Thursday, May 2, 2024

আমি হতাশ, বাইরের চাপে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর প্রকল্পের অর্থায়ণে সরে এসেছিল: প্রধানমন্ত্রী

চাকুরির খবর

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যেকার অংশীদারিত্বের ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন আমাদের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যতের দিকে দেখতে চাই।

বিশ্বব্যাংককে তার মূল উদ্দেশ্যের দিকে মনোযোগী থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংককে অবশ্যই তার মূল উদ্দেশ্য দারিদ্র বিমোচন এবং উন্নয়ন অর্থায়নের প্রতি মনোযোগী থাকতে হবে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ৫৩টি বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। এটি এখন পর‌্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান এবং ঋণের অংশ।

বাইরের চাপে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করেছিল- এমন দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১ মে) বিশ্বব্যাংকের সদরদপ্তরে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন দাবি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি হতাশ, বাইরের চাপের কারণে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে এসেছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সুযোগ এবং গ্রহণ করার ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ কখনো ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি বা তথাকথিত ‘ঋণের ফাঁদে’ পড়েনি।

তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সম্পদ দিয়ে ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার লক্ষণ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংকের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার মধ্যে দিয়ে জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর হওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংক সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান-ভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বিশ্বব্যাংকসহ আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের আমাদের ডিজিটাল এবং ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাণিজ্য বহুমুখীকরণ, বিনিয়োগ প্রচার-প্রচারণা এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাই।

আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, বিদ্যুৎ এবং দুর্যোগ প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ অসাধারণ উন্নতি করেছে।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর