36 C
Dhaka
Friday, April 26, 2024

আওয়ামী লীগ সরকারের ৫ শত্রু

বিডিনিউজ ডেস্ক | ঢাকা | ১৫ই আগস্ট, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৩১শে শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ , বর্ষাকাল, ৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৩ হিজরি

চাকুরির খবর

টানা ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের কালো অধ্যায় পেরিয়ে আওয়ামী লীগ যে আবার সংগঠিত হয়েছে এবং দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তার পেছনে প্রধান কারণ হলো আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, দৃঢ়তা এবং দূরদৃষ্টিতা। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টে আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। তার মূল উদ্দেশ্য হলো যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পতাকা বহনকারী সংগঠনটি যেন নিঃশেষ করে দেওয়া হয়। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো, যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল তারাই মূলত এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল।

তাই আওয়ামী লীগ যখনই সুসময়ে আসে তখনই আওয়ামী লীগের মধ্যে, নেতাকর্মীদের মধ্যে অজানা শঙ্কা ভর করে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরাই টানা ১২ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটিকে নিয়ে উদ্বিগ্ন, চিন্তিত।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই ভালো থাকে তখনই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয় এবং এই ষড়যন্ত্রগুলো দলকেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত করে না দেশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে এরকম কথা প্রকাশ্যে বলেন অনেকে।

আরেকটি ১৫ই আগস্ট করার চক্রান্তের কথাও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়। আর এরকম প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের প্রধান শত্রু কি সেই বিষয়টি নিয়েও কথাবার্তা হয়। আওয়ামী লীগের বিকাশের পথে এখন ৫ টি শত্রুকে চিহ্নিত করছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এই শত্রুগুলো হচ্ছে:

১. অদক্ষ মন্ত্রী: বর্তমান মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যের অদক্ষতা নিয়ে ঘরে বাইরে সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতারাই মনে করেন যে, এ সমস্ত মন্ত্রীদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের ফলে আওয়ামী লীগের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হচ্ছে এবং জনগণের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত অদক্ষ মন্ত্রীদেরকে চিহ্নিত করে যদি তাদেরকে সরিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগ আবার ভবিষ্যতে সংকটে পড়তে পারে।

২. চাটুকার আমলা: এ কথা এখন বেশ জোরেশোরেই বলা হচ্ছে যে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রধান শত্রু হলো চাটুকার আমলারা। চাটুকার আমলারা যেমন একদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ঘিরে ফেলেছে অন্যদিকে তারা স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্তৃত্বকে হরণ করে করেছে এবং পুরো দেশ এখন আমলাদের নিয়ন্ত্রণেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।

৩. প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা বিএনপি-জামায়াত: আওয়ামী লীগের অন্যতম শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হয় প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের। যারা বিভিন্ন সময়ে সরকারকে বিভ্রান্তিকর এবং ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্ররোচিত করে। এই সমস্ত বিএনপি-জামাতপন্থিরা আসলে ছদ্মবেশী এবং তাদের মূল লক্ষ্য হলো সরকারের জনপ্রিয়তা নষ্ট করা।

৪. হাইব্রিড তদবিরবাজ: হাইব্রিড তদবিরবাজরা আওয়ামী লীগের এখন অন্যতম প্রধান শত্রু হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে এরা বিভিন্ন অনিয়ম, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ-বাণিজ্য ইত্যাদি করে আওয়ামী লীগের বদনাম করছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

৫. সাংগঠনিক দুর্বলতা: আওয়ামী লীগের প্রধান শত্রু হিসেবে এখন এসেছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড এখন নষ্ট হয়ে গেছে। স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠনগুলো বহুধাবিভক্ত, গ্রুপিং, কোন্দলে জর্জরিত। এরকম পরিস্থিতিতে একটি রাজনৈতিক সরকারকে সহায়তা করার জন্য যে শক্তিশালী সংগঠন দরকার সেই সংগঠনের দুর্বলতা আজ সুস্পষ্ট।

আর এই শত্রুগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য ক্ষতগুলো দূর করতে হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর