30 C
Dhaka
Monday, April 29, 2024

আওয়ামী লীগ আক্রমণ করলে বিএনপি আর কোন ছাড় দেবে না!

চাকুরির খবর

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি কোনভাবেই সহিংসতা তৈরি করবে না, তবে বাধা আসলে প্রতিরোধ থেকেও বিরত থাকবে না। দলটির একাধিক নেতাদের সাথে কথা বলে বোঝা গেছে যে তারা মনে করছেন আন্তর্জাতিক চাপ আর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকার বেকায়দায় পড়েছে এবং এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের আর এককভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। অর্থাৎ তারা মনে করছেন কোনও রকমে তফসিল ঘোষণা করে একটা নির্বাচন করে ফেলার মতো পরিস্থিতি এখন আর বাংলাদেশে নেই।

মি. আলাল বলেন, আমরা একটা চেইন ঠিক করেছি এবং সেটা কার্যকর হলে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হবে। আগামী দুমাসেই সেটা জনগণ নিশ্চিত করবে।

নেতাদের কাছ থেকে আরেকটি ধারণা পাওয়া গেছে যে তারা নিজেরা সহিংসতা এড়িয়ে চলবেন যাতে করে ২০১৪ সালে জ্বালাও পোড়াওয়ের জন্য যেভাবে সরকার বিএনপিকে দায়ী করেছে তেমন পরিস্থিতি আর না হয়। তবে সরকার পক্ষ আক্রমণ করলে সেখানে আর কোন ছাড় তারা দেবেন না এবং এসব ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্তগুলো নেয়ার আগে বৈশ্বিক শক্তিগুলোর মতামত যাচাই করবেন তারা।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেছিলেন, আমরা তো ৯৬ সালের আন্দোলন ভুলিনি। আর এখনকার পরিস্থিতিতে আমরা কর্মী সমর্থকরাও জানি যে আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তাই আঘাত আসলে মুখ বুজে তো সহ্য করবো না। সরকার তীব্রতা বাড়ালে সমুচিত জবাব পাবে। মি. আহমেদ দলীয় পরিমণ্ডলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

দলের গুরুত্বপূর্ণ সূত্রগুলো জানিয়েছে আগামী দুমাসে দলের সব কার্যক্রমে ফোকাস থাকবে তিনটি বিষয়ের উপর। এগুলো হলো যত বেশি সম্ভব রাজনৈতিক দলকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে বৈশ্বিকভাবে প্রভাবশালী দেশগুলোর নির্বাচন প্রশ্নে বর্তমান মনোভাবকে বহাল রাখা আর মাঠের কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা।

অর্থাৎ নির্বাচনের তফসিল একতরফাভাবে ঘোষণা হলে যাতে করে যত বেশি সংখ্যক দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখা যায় সেই চেষ্টাই করবে দলটি।

কারণ দলের নেতারা অনেকেই মনে করেন যে একবার নির্বাচন সরকার একতরফা ভাবে করে ফেললে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে উঠবে। তাই তারা চান ‘পরিস্থিতি যাই হোক তফসিল ঘোষণার আগেই’ সরকারি দলের বাইরে সব দলকে এক জায়গায় নিয়ে এসে ‘দাবি আদায় করা যাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি করার’’ মতো অবস্থা তৈরি করা।

পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান- এমন বিষয়গুলো যাতে অব্যাহত থাকে সে চেষ্টাও থাকবে দলের পক্ষ থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র আগেই ভিসা নীতি ঘোষণা করে বলেছে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে অন্তরায় যারাই হবে তারাই ওই নীতির আওতায় পড়বেন। মূলত এ ভিসা নীতি ঘোষণার পরই ‘সরকার বেকায়দায় পড়ে’ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

তবে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে সক্রিয় প্রভাবশালী বিদেশী শক্তিগুলো চায় না, এমন কোন কর্মসূচি দেয়া থেকে বিএনপি বিরত থাকবে এটিও নিশ্চিত করতে চান দলের নেতারা। কারণ ভিসা নীতি ঘোষণায় সরকার বেকায়দার পড়লেও এটি শুধুমাত্র সরকার বা সরকারি দলকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা করা হয়নি।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর