অসহায় জমিলা বেগম। ২ ছেলে-মেয়ে নিয়ে জীবন যুদ্ধে অভাবের সংসারে দিন কাটছে তাদের। স্বামী অসুস্থ, তাই জমিলার জীবনের তাগিদে মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোন রকম টানাটানির সংসার চালিয়ে আসছিল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ভাঙ্গা ঘরে রোদ,বৃষ্টির পানিই ছিল তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
মুজিববর্ষে দেশে একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা ও প্রতিটি উপজেলায় সরকারি ঘরের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সে মন্তব্যে সাড়া দিয়ে হঠাৎ মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রতন কুমার শীল নিজস্ব অর্থায়নে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। খোঁজে আসে হতদরিদ্র জমিলা বেগম এর নাম।
তাদের কোন জায়গা না থাকায় ৫নং ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায় হতদরিদ্র জমিলা বেগমের শ্বাশুড়ী এক খন্ড উচু পাহাড়ে জমি দান করেন ।
সেখানেই ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে রং করা থেকে শুরু করে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এরই মধ্যে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সে ঘরে বসবাস শুরু করবেন গৃহহীন জমিলা বেগম এমনটাই জানিয়েছে তিনি।
এ বিষয়ে মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহবানে অনুপ্রাণিত হয়ে নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি নিজস্ব অর্থায়নে বাড়িটি করে দিয়েছি। যাতে করে পরিবারটির ছেলে-মেয়ে নিয়ে দীর্ঘ কষ্টের অবসান ঘটে। এবার তাদের ঠাঁই হবে সেই স্বপ্নে ঠিকানায়।
মহালছড়ি সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দও জানান, জেলার সব উপজেলার তালিকা হয়েছে। কিন্তু মহালছড়ির তালিকা হয়নি। পরে মহালছড়ি উপজেলায় হতদরিদ্র জমিলাকে খুঁজে পাওয়ার পর সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাড়ী করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
জমিলার শ্বাশুড়ী হালিমা বেগম জানান, আমার ছেলে খুবই অসুস্থ। কাজ করতে পারে না। আমার ছেলের বৌ মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়।
বিষয়টি মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীলকে জানালে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে সম্পুন্ন পাকা বাড়ি করে দিতে রাজি হন। আমার দান করা এক টুকরো জমি দান করলে সেখানে একটি পাকা বাড়ি করে দেন চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল। বাড়ি পেয়ে খুশি জমিলা বেগম ও তার পরিবার।
প্রধানমন্ত্রীর আহবানে মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীলের নিজ অর্থায়নে হতদরিদ্র জমিলা বেগম এর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোটা এই উপজেলার জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে জানান স্থানীয়রা।