লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে আগত রোগীদের হয়রানি ও প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দালাল জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে রোগীদের। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নিরীহ মানুষের ভুল বুঝিয়ে পরীক্ষার নামে জসিম উদ্দিন বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল/ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নিয়ে যায়।
ডাক্তারের পরিবর্তে হাসপাতালের নার্সদের নিয়ে ব্যবস্থাপত্র লিখে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অনেক মহিলা রোগী টাকা দিতে না পারলে তাদের গহনা কিংবা মোবাইল রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি জনৈকা নাজমুন নাহার তার গাইনি সমস্যা নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদাউস রুনা কে দেখানোর জন্য আসলে দালাল জসিম তাকে বুঝিয়ে ফুসলিয়ে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে নার্স কে ডাক্তার সাজিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে তার ১৫ হাজার টাকা দাবী করে।
এতো টাকা দিকে অস্বীকার করায় জসিম তাকে টাকার না দিতে পারলে তার গহনা রেখে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে ওই মহিলা তার প্রতিবাদ করলে জসিম তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। পরে বাধ্য হয়ে ওই রোগী ১৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়।
এ দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জসিম উদ্দিন সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের পুত্র। সেই দীর্ঘ দিন থেকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আগত রোগীদের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে হাজার হাজার টাকা আদায় করে।
সম্প্রতি সদর হাসপাতালের দালাল বিরোধী অভিযানে তাকে আটক করা হয়। ছাড়া পাওয়ার পর সেই ফের একই কায়দায় মানুষের সাথে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আনোয়ার হোসেনের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জসিম উদ্দিন এই হাসপাতালের কেউ না। মূলত একজন দালাল। তাকে সম্প্রতি অভিযানে আটক করা হয়েছে।
এখন আবার কোন রোগীকে হয়রানি বা প্রতারণা বিষয়টি লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে। অভিযোগের ব্যাপারে জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।