31 C
Dhaka
Friday, April 26, 2024

সংকট বেড়েই চলেছে সরকারের

চাকুরির খবর

একদিকে করোনা মোকাবেলা অন্যদিকে আমলাদের দৌড়াত্ম আর একদিকে হেফাজতের উস্কানি, সবমলিয়ে সরকার নানা রকম সংকটে আছে। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণে লাগামহীন উর্ধ্বগতি সংকটে ফেলেছে সরকারকে।

আর এই সংকটগুলোর উত্তরণ কিভাবে করবে তার ওপর নির্ভর করছে সরকারের জনপ্রিয়তা।

গতবছর যখন মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিলো তখন সরকার করোনা এবং অর্থনীতি মোকাবেলায় যথেষ্ট সাফল্যের পরিচয় দিয়েছিলো। কিন্তু এবার শুরু থেকেই সবকিছু অগোছালো এবং লেজেগোবরে হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ৫ এপ্রিল যে লকডাউন দেয়া হয়েছিলো সেটি ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে।

আজ আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই ধারায় লকডাউন আরও দুইদিন চলবে বলে উল্লেখ করেছে। যদিও এটি লকডাউন কি না সেটিও প্রশ্ন উঠেছে। আর এসব কিছু মিলে মনে করা হচ্ছে সরকারের সামনে সংকট বাড়ছে। সরকার যেসব সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সেগুলো হলো।

১. লকডাউন কার্যকর করা: সরকার ঘোষণা করেছে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠিন লকডাউন দেবে। কিন্তু সেটি কীভাবে কার্যকর করা হবে তা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের জন্য। বিশেষ করে প্রথম দফায় লকডাউন যখন সম্পর্ণভাবে অকার্যকর হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে মানুষ বিক্ষোভ করেছে, অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের জন্য মানুষ ফুঁসে উঠেছে সেখানে এখন লকডাউন কর্যকর হবে কি না সেটি একটি প্রশ্ন বটে। তাছাড়া সামনে ঈদ এবং রোজা এর মধ্যে মানুষ লকডাউন কতটা কর্যকর করতে দেবে সেটি দেখার বিষয়।

২. স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়া: প্রথম দফায় যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ছিলো সেটি দ্বিতীয় দফায় দেখা গেলো এই খাতে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বরং প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছিলেন, যেমন প্রত্যেক জেলায় আইসিইউ বেড স্থাপন, অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা তৈরি করা, ফিল্ড হাসপাতাল ইত্যাদি কোনোটাই পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বরং স্বাস্থ্য মন্ত্রণায় এক প্রকার আনন্দে থেকেছে। এই সাফল্যের প্রচারণায় তাদেরকে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।

এখন যখন দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছ তখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এই মূহুর্তে কোনো হসপাতালে আইসিএই বেড খালি নেই বললেই চলে। এমনকি সাধারণ বেডেরও সংকট দেখা দিয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি কোথায় যাবে সেটি সরকারের জন্য নতুন মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৩. অর্থনৈতিক সংকট: করোনায় লকডাউনের সাথে সাথে অর্থনৈতি সংকট দানাবেধে উঠেছে। প্রথম দফায় মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ী ছাড়া কেউই আসলে প্রণোদণা পাননি। এখন  দ্বিতীয় দফায় কেউ প্রোণোদণা পাবেন কি না বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য কি হবে এগুলো নিয়ে এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং সরকারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

৪. আমলা বনাম জনপ্রতিনিধির দূরত্ব: দ্বিতীয় দফায় আবার আমলাদের বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এটি জনপ্রতিনিধিরা ঠিকভাবে মেনে নিতে পারেননি এবং এতে আমলা ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের কাজে এক ধরনের স্থবিরতা এবং বিভিক্তি দেখা দিতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। 

৫. হেফাজত নিয়ে দুশ্চিন্তা: দিন যতোই যাচ্ছে হেফাজত নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। সরকার যদিও হেফাজতের ব্যপারে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছে কিন্তু বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার পরও হেফাজতের শীর্ষ কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আর এটি নিয়ে সরকার আরেকটি সংকটে পড়েছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর