যদিও আজকাল মানুষ সরিষার তেলের ব্যবহার কমাতে শুরু করেছে, কিন্তু সরিষার তেলের রয়েছে অনন্য উপকারিতা। সরিষার তেলে ৬০ শতাংশ মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এ ছাড়া এরউসিক অ্যাসিড ও ১২ শতাংশ ওলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও এতে ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। অর্থাৎ সরিষায় সব ধরনের উপকারী যৌগ পাওয়া যায়।
সরিষার তেল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেল শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। সরিষার তেল সর্দি-কাশি সারাতে পারে। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গালও। তো চলুন জেনে নিই সরিষার তেলের ৫টি উপকারিতা।
সরিষার তেলের উপকারিতা
১. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল- হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সরিষার তেলে শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অর্থাৎ সব ধরনের অণুজীব নির্মূল করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সরিষার তেল কিছু ক্ষতিকারক ছত্রাক এবং ছাঁচকেও মেরে ফেলে।
২. ত্বক এবং চুল রক্ষা করে- খাঁটি সরিষার তেল চুলের বৃদ্ধি এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। সরিষার তেলের সঙ্গে মোম মিশিয়ে ফাটা গোড়ালিতে ব্যবহার করা হলে গোড়ালি ফাটার সমস্যাও দূর হয়। সরিষার তেল দিয়ে নবজাতক শিশুদের মালিশ করলে ত্বক চিরকাল উজ্জ্বল থাকে। সরিষার তেলও বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখা কমায়।
৩. ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক- গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সরিষার তেল শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করতে সহায়ক। এমনকি এটি একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সরিষার তেল ইঁদুরের কোলন ক্যান্সারের বিকাশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়।
৪. হার্টকে সুস্থ করে তোলে- সরিষার তেলে একই মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় যা বাদাম, আখরোট, বীজে পাওয়া যায়। এতে হৃদয় সব দিক থেকে উপকৃত হতো। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেল ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. সর্দি এবং কাশিতে কার্যকর- খাঁটি সরিষার তেল প্রায়শই সর্দি উপসর্গ যেমন কাশি এবং বুকে ভারি হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।