লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পরিচয় গোপন রেখে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করলেন জুয়েল চন্দ্র দাস নামের এক হিন্দু তরুন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কালামিয়া পন্ডিতের হাট এলাকায়।
জুয়েল চন্দ্র দাস নামের ঐ তরুনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথ পুর গ্রামের কালামিয়া পন্ডিতের হাট এলাকায়।
সে ঐ এলাকার শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,জুয়েল এবং শিখা আক্তার গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো।এতে জুয়েল ও শিখার সাথে পরিচয়ে অত:পর প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়।
বিয়ের কয়েক মাস পর জুয়েল শিখাকে রেখে পালিয়ে যায়। ততক্ষণে শিখার গর্ভে সাত মাসের সন্তান। কোন প্রকার উপায় না পেয়ে জুয়েল কে খুঁজতে চেষ্টা চালান স্ত্রী শিখা আক্তার।
ছুটে আসেন জুয়েল চন্দ্র দাসের গ্রামের বাড়ী লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়।
জুয়েলকে খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে জুয়েলের নতুন পরিচয়! শিখা আক্তার এতো দিন জানতো জুয়েল মুসলিম। কিন্তু জুয়েল ছিলো হিন্দু। তার পুরো নাম জুয়েল চন্দ্র দাস।
ভূয়া জন্মনিবন্ধন তৈরী করে জুয়েল মুসলিম পরিচয় দিয়ে শিখার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে জুয়েল এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে স্বামীর খোঁজে ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়া সহ পুলিশের সহায়তা চেয়ে রামগতি থানায় উপস্থিত হন শিখা।
শিখা আক্তারের কাছে এত দিন জুয়েল তার ধর্ম পরিচয় গোপন রাখেন । সে জুয়েলকে মোহাম্মদ জুয়েল রানা নামেই জানতো। শিখা মুসলিম মেয়ে। জুয়েল হিন্দু ধর্মের।
শিখা আক্তার নামের ঐ মুসলিম তরুণীর বাড়ী শেরপুর জেলায়। তার গর্ভে ৭ মাসের সন্তান রয়েছে। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি )মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, মেয়ের জবানবন্দি শুনে মানবিক দিক বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঐ ছেলের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়। তবে মেয়েকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।