37 C
Dhaka
Tuesday, April 16, 2024

বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী

বিডিনিউজ ডেস্ক | ঢাকা | ২রা আগস্ট, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১৮ই শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ , বর্ষাকাল, ২৩শে জিলহজ, ১৪৪২ হিজরি

চাকুরির খবর

শেখ হাসিনা বলেন, 'হত্যার বিচার করা হয়েছে কিন্তু এর পেছনে কে ষড়যন্ত্র করেছে তা এখনও উদঘাটিত হয়নি। একদিন নিশ্চয়ই এটি বের হবে।'

বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বলেছেন, খোন্দকার মোস্তাক এবং জিয়াউর রহমানের মধ্যে সম্পৃক্ততা ছিল।

তিনি বলেন, ‘হত্যার বিচার করা হয়েছে কিন্তু এর পেছনে কে ষড়যন্ত্র করেছে তা এখনও উদঘাটিত হয়নি। একদিন নিশ্চয়ই এটি বের হবে।’

বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত ধানমন্ডি-৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন স্বেচ্ছায় রক্ত, প্লাজমা দান ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কৃষক লীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রধান কাজ ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত খুনিদের বিচারের আওতায় আনা এবং দেশ ও জনগণের বিষয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল সে পথে না গিয়ে আমার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দরিদ্র এবং ক্ষুধার্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং তাদের জীবন-মান উন্নত করা।’

তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি দেখতে চাই এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। আমি চাই বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাক।’

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল।

তিনি বলেন, ‘তাদের চিন্তাধারা পাকিস্তানিদের সাথে মিল ছিল, তারা ধরে নিয়েছিল যে বাংলাদেশ কখনোই মাথা উঁচু করে উঠতে পারবে না। এজন্য তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। আমি বিস্মিত যে আমাদের লোকজন কীভাবে এর সাথে জড়িত হল!’

তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে খোন্দকার মোস্তাক এবং জিয়াউর রহমানের মধ্যে সম্পৃক্ততা ছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্যুত হয়ে পড়েছিল বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর