অনলাইন ডেস্ক: প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট-২০১০-এর ৩১ (১) ধারা অনুযায়ী, যোগদানের তারিখ থেকে আগামী চার বছরের জন্য তাকে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ।
গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ড. লেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৯২ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৯৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। গবেষক হিসেবে অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে অনেকগুলো স্কুল, কলেজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। ড. লেখা ২০০৩ সাল থেকে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অধ্যাপক, বিভাগীয় সভাপতি এবং স্কুল অব এডুকেশন ও ফিজিক্যাল এডুকেশনের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপউপাচার্য হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
উপউপাচার্য হিসেবে তিনি একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ও ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের সমন্বয়ের নজির স্থাপন করে সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের নতুন উচ্চতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেছেন।
তিনি সর্বদা নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে বিশেষ জোর দিয়েছেন। বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকজন নারী উপাচার্যের একজন হিসেবে তিনি অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলেন।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ড. লেখা বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তার লেখা বই বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির সহায়ক পুস্তকের অংশ। গবেষণা ও মননশীল লেখা উভয় ক্ষেত্রেই তিনি সব্যসাচী ভূমিকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।