বিডি নিউজ গ্লোবাল ডেস্কঃ করোনায় বদলে গিয়েছে আমাদের চেনা পৃথিবী। আমরাও ভাবছি সবকিছু নতুন করে। যেমন সোশ্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করে পথ চলা, জৈব সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা বা ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিজেকে জিবানু মুক্ত রাখা।শিক্ষা ব্যবস্থায় ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, অনলাইনে নতুন নতুন ব্যবসায় উদ্যোগ চেনা পৃথিবীর নতুন দিক উন্মোচন করে চলেছে। এ সব কিছুর সাথেই নিউ নরমাল লাইফে আবাসন ব্যবস্থা বা বাসস্থান মডেল কি হওয়া উচিৎ, এ নিয়ে কথা বলছিলাম আবাসন খাতের পেশাজীবি ও ভোক্তাদের সাথে।
নিউ নরমাল লাইফে আমরা সবাই নতুন করে ভাবছি। সবকিছুতে, হতে হবে স্বাস্থ্যকর। ভাবনা গুলোতে কেবলই এখন সবার আগে স্বাস্থ্য। খাবারটা কি স্বাস্থ্যসম্মত, যানবাহন কি নিরাপদ, ভাবনা জুড়ে কেবলই করোনা।এমন একটি বাস্তবতাকে মাথায় নিয়ে আমাদের জীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। আবাসন খাতেও আমরা দেখছি নতুন সব ভাবনা। প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান গুলো চিন্তা করছে নতুন করে, গ্রাহকগন ও চিন্তা করছে নতুন ভাবে।
এ প্রসঙ্গে কথা বলছিলাম জনাব শরীফুল ইসলাম টুটুল এর সাথে, মহাব্যবস্থাপক, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন। তিনি বলেন, করোনা খুব সহসাই যাচ্ছেনা, আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে করোনাকে সাথে নিয়ে নিউ নরমাল লাইফে।করোনা মোকাবেলায় বার বার বলা হচ্ছে সোশ্যাল ডিসটেন্স এর কথা, এর কতটুকুই বা আমরা মানতে পারছি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর তালিকায় ১১তম। কিন্তু আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার হিসাবে ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে এত জনসংখ্যা নিয়ে অপরিকল্পিত শহরে আপনি সোশ্যাল ডিসটেন্স কিভাবে গড়ে তুলবেন। এই আশাতীত ঘনত্বের চাপ নিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত আবাসন আশা করা কঠিন সাধ্য।
জনাব টুটুল আরো বলেন, স্বাস্থ্য সম্মত আবাসন প্রশ্নে ঢাকার আরবান জোনের উপর চাপ কমানো জরুরী। আমাদের দেশের ব্যতিক্রম দিক হচ্ছে সামর্থ্যবান আপার ক্লাস মানুষজন থাকছেন ঢাকার সেন্ট্রাল জোনে যা উন্নত বিশ্বে ভিন্নতর। উন্নত বিশ্বে এলিট শ্রেনী সব সময়ই থাকেন কমিউটার জোনে, বিশাল সব ভিলা বা ম্যানশন বানিয়ে। ঢাকার সেন্ট্রাল জোনের একটি ফ্ল্যাটের দাম দিয়ে ঢাকার অদুরে কমিউটার জোনে বিশাল বাংলো বানানো সম্ভব। যেমন আমিন মোহাম্মদ হোল্ডিংস লিঃ মতিঝিল থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরত্বে তৈরী করছে দি ভ্যালী বাংলাদেশ (The Valley Bangladesh) প্রকল্প। ৩ টি পার্ক ও ৪ টি খেলার মাঠ সম্বলিত ১৪৪ বিঘা আয়তনের দি ভ্যালী বাংলাদেশ (The Valley Bangladesh) প্রকল্পে রয়েছে খোলামেলা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ। আপনার অফিস যদি হয় মতিঝিল আর আপনি ফ্ল্যাট কিনতে চাচ্ছেন বেইলী রোড, শান্তিনগর বা সেগুনবাগিচায় তাহলে আপনার জন্য স্বাস্থ্য সম্মত আবাসন প্রত্যাশা দুরহ। এই এলাকায় বেড়ে উঠছে এমন কোন শিশু কিশোর কি কোন মাঠে খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে, মুক্ত বাতাসে মাঠে ছুটোছুটি তাদের কাছে কল্পনাতীত। অথচ আপনি অনায়াসেই এই টাকায় দি ভ্যালী বাংলাদেশ (The Valley Bangladesh) প্রকল্পে ১ টি প্লট কিনে বানাতে পারেন বিলাশবহুল বাংলো যা আপনার সন্তানের জন্য মুক্ত পৃথিবী। করোনা পরবর্তী নিউ নরমাল লাইফে স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন এখন সময়ের দাবী। আপনার পরিবারের সুস্থ বিকাশের জন্য সঠিক আবাসন সিদ্ধান্ত আপনারই হাতে।
এ প্রসঙ্গে কথা বলছিলাম একজন ভোক্তা জনাব ব্যারিষ্টার ফাহিম রেজা সাহেবের সাথে। তিনি বলেন বাংলাদেশে আবাসনের অব্যবস্থাপনার জন্য এ শহরের বাসিন্দাদের দায় অনেক বেশি। যেমন ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশী বাস চলাচল করে মিরপুর-মতিঝিল ও উত্তরা-মতিঝিল রুটে। তার মানে দাড়াচ্ছে মতিঝিল অফিস করেন এবং মিরপুর বা উত্তরায় থাকেন এমন মানুষ প্রচুর, যাদের দিনের ২/৩ ঘন্টা প্রতিদিন রাস্তাতেই কেটে যায়। সৃষ্ট হচ্ছে যানজট, অপচয় হচ্ছে কর্মঘন্টা। অথচ মতিঝিল অফিস করা মানুষজন অনায়াসেই ২০ মিনিট দূরত্বে ঢাকা মাওয়া রোডে নতুন আবাসন গড়ে তুলতে পারেন। যেখান থেকে খুব সহজেই আপনি অফিস করবেন নিরাপদে, আপনার পরিবার থাকবে নিরাপদে। এ নগরীর অব্যক্ত কথা, চাপ কমাও, পরিকল্পনাহীন বাসস্থান এর কারনে অযথাই ছুটোছুটি বন্ধ কর। করোনাকে আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে অনির্দিষ্টকাল। তাই সচেতনতাই একমাত্র অবলম্বন, নিউ নরমাল লাইফে এডজাষ্ট করতে ঢাকার চারপাশে আবাসন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে হবে।
ঢাকাকে পরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলার জন্য ডেভেলপার কোম্পানী গুলোর গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা অনস্বীকার্য । স্বাস্থ্য সম্মত আবাসন মডেল গড়ে তুলতে ডেভেলপারদের উদ্যোগের পাশাপাশি ক্রেতাদের মাইন্ডসেট করা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। ক্রেতাদের সাহসী ও বিচক্ষন সিদ্ধান্তই পারে নতুন উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিতে, বলছিলেন জনাব শরীফুল ইসলাম টুটুল। তিনি ক্রেতা ও আবাসন ব্যবসায় জড়িত সবাইকে আমিন মোহাম্মদ হোল্ডিংস লিঃ এর মডেল প্রকল্প দি ভ্যালী বাংলাদেশ (The Valley Bangladesh) পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য সম্মত আবাসন নিয়ে নতুন ভাবে কাজ করার জন্য আহবান জানান। তিনি প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য ধানমন্ডিস্থ প্রধান কার্যালয় অথবা হটলাইন নাম্বার 01810103999 নম্বরে যোগাযোগের জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।