বিগত দিনে রাজনৈতিক বিবেচনায়, বিশেষ করে পুলিশ ও প্রশাসন ক্যাডারে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারের কাছে অভিযোগ আসছে। এ কারণেই পুলিশ ক্যাডারে ছয়টি ব্যাচের সব নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ একাধিক সংগঠন আমলাতন্ত্রের ভেতরে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগীদের বের করে দেওয়াসহ সর্বশেষ বিসিএস পরীক্ষাগুলো তদন্ত করে দেখার দাবি জানায়। বিএনপি দাবি করে, ৪৩তম বিসিএসে যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার বেশির ভাগই ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এ ছাড়া ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের যেসব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো স্থগিত করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানায় দলটি।
এদিকে, জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হওয়া দরকার। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় থাকার কারণে কাউকে চাকরি থেকে বাদ দিলে সেটি আদালতে টিকবে কিনা, তা বলা মুশকিল। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটালে, বিশেষ সুবিধা পেলে, চাকরির আগে-পরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরি নিয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়াটাই সমীচীন।
চারটি বিসিএসের প্রক্রিয়া পর্যালোচনার উদ্যোগের কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে চাননি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।