দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় দুই মাস আগে অতিরিক্ত ও উপসচিব পদে পদোন্নতি দিতে প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) একাধিক বৈঠকের পর নির্বাচনি ব্যস্ততার কারণে সেটি আর চূড়ান্ত করা হয়নি।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর এসএসবির কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। এবার পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় আনা হচ্ছে নিয়মিত ব্যাচ হিসাবে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচ থেকে অতিরিক্ত সচিব এবং ৩০তম ব্যাচ থেকে উপসচিব পদের কর্মকর্তাদের। অতিরিক্ত ও উপসচিব পদে দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র আভাস দিয়েছে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, পদোন্নতি ও রদবদল প্রশাসনের নিয়মিত কাজের অংশ। এগুলো নিয়ে আমরা নিয়মিত কাজ করি। বলতে পারেন রুটিন কাজ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উল্লিখিত এসএসবি’র বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের সব নথি, প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা, দুর্নীতির অভিযোগসহ সামগ্রিক বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য ১৮তম ব্যাচের সঙ্গে বঞ্চিত ১৭তম ব্যাচসহ অন্যান্য ব্যাচের কর্মকর্তাদেরও বিবেচনা করা হচ্ছে। ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা মোট ১০০। এই মুহূর্তে কর্মরত আছেন ৯২ জন। প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদ ১৩৫টি। বর্তমানে কর্মরত ৪২০ জন।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল ২৩১ কর্মকর্তাকে। এদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ২৯তম ব্যাচের ১৬৯ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। এবার বিসিএস নিয়মিত ব্যাচ হিসাবে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হবে। এই ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তার সংখ্যা ২৭৭।
বর্তমান প্রশাসনে সচিব, অতিরিক্ত ও উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।