অনলাইন ডেস্ক: ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে স্বর্ণের বারের শুল্ক বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে একটির বেশি (১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি) বার আনলে রাষ্ট্রের অনুকূলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজেট অধিবেশনেই নতুন আয়কর আইন পাশ হচ্ছে। নতুন আইনে কর দিবসের (৩০ নভেম্বর) পরে রিটার্ন জমার জরিমানা বাড়ানোর প্রস্তাব থাকছে।
অন্যসব জরিমানার পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রদেয় করের ২ শতাংশের পরিবর্তে ৪ শতাংশ জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হচ্ছে।
আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারায় বলা আছে, করদাতা যদি কোনো কারণ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ে রিটার্ন দাখিল না করেন, আবার এজন্য অনুমোদনও না নেন, সেজন্য তার পূর্ববর্তী বছর প্রদেয় করের ১০ শতাংশ বা ১ হাজার টাকার মধ্যে যেটি বড় অঙ্ক-ওই পরিমাণ অর্থ জরিমানা হবে।
সেই সঙ্গে যতদিন দেরি হবে, প্রতিদিনের জন্য ৫০ টাকা হারে বাড়তি মাশুলও গুনতে হবে। ৭৩-এ ধারায় বলা আছে, ৩০ নভেম্বরের পর কর কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে দেরিতে রিটার্ন জমা দিলেও মাসিক ২ শতাংশ বিলম্ব সুদ দিতে হবে।
বাজেট অধিবেশনে উত্থাপিত নতুন আয়কর আইনে দেরিতে রিটার্ন জমার মাসিক জরিমানা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হচ্ছে। এনবিআর ১ জুলাই অর্থাৎ বাজেট কার্যকরের দিন থেকেই নতুন আইন কার্যকর করতে চায়।
অন্যদিকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে ব্যাগেজ রুলে বড় ধরনের সংশোধন আনা হচ্ছে। ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি ওজনের একটির বেশি স্বর্ণের বার আনলে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার বিধান আনা হচ্ছে।
একইসঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে স্বর্ণ বারের শুল্ক। বর্তমানে ভরিপ্রতি ২ হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে ২৩৪ গ্রাম (২০ ভরি) ওজনের স্বর্ণের বার আনা যায়। এই শুল্ক বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হচ্ছে।
অর্থাৎ আগে ২০ ভরি বারের জন্য যে টাকা (৪০ হাজার টাকা) শুল্ক দিতে হতো, ১ জুন থেকে ১০ ভরি ওজনের বারের জন্য একই পরিমাণ শুল্ক দিতে হবে।
অবশ্য স্বর্ণালংকার আনার সুযোগ অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে। একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় ১০০ গ্রাম (সাড়ে ৮ ভরি) ওজনের স্বর্ণালংকার আনতে পারবেন, এজন্য শুল্ক-কর দিতে হবে না। তবে এক ধরনের অলংকার ১২টির বেশি আনা যায় না।