অনলাইন ডেস্ক: ১৯৭১ সালের মার্চের প্রতিটি দিনই ছিল উত্তাল। ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাংলার মানুষের দুর্জয় আন্দোলন দেখে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (পশ্চিম পাকিস্তান) নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।”
ওই দিন ইত্তেফাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। আগের দিনের ওই বিবৃতির খবরের শিরোনাম ছিল, ‘সংগ্রামী জনতার প্রতি নেতার অভিনন্দন।’
একাত্তর সালের ৫ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যানার হেডলাইন ছিল- ‘জয় বাংলার’ জয়। রাজনৈতিক ভাষ্যকার ‘ক্রেডিট লাইন’ দিয়ে সেদিন ওই প্রতিবেদনের শুরুর দিকের একটি লাইন ছিল- “ক্ষমতার দুর্গ নয়, জনগণই যে দেশের সত্যিকার শক্তির উৎস, বাংলাদেশের বিগত তিন দিনের ঘটনাবলী নিঃসন্দেহে সপ্রমাণিত হয়েছে।”
৫ মার্চ ১৯৭১। স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির সর্বাত্মক সংগ্রামের পঞ্চম দিনেও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। টঙ্গীতে শ্রমিক-জনতার মিছিলে চালানো গুলিতে সেদিন চার ব্যক্তি নিহত, ১৪ জন আহত হন।
গুলিবর্ষণে আহত হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রফিজ উদ্দিন (৩৫)। আহত আব্দুল মতিনও মারা যান ঢামেক-এ।
১৯৭১ সালের প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে ১৯৭২ সালে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তৎকালীন দৈনিক বাংলা পত্রিকা। এছাড়াও দৈনিক ইত্তিফাক ও দৈনিক আজাদ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সংবাদ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার ইতিহাসে মার্চ মাস বিশ্বের ভূখন্ডে নতুন একটি মানচিত্র তৈরির মাস। বিশ্ব ভূখণ্ডে সৃষ্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনের মাস- উত্তাল এই মার্চ মাস। বাংলাদেশের জন্ম হয় এই উত্তাল মার্চেই। ‘উত্তাল মার্চের দিনগুলো’র পঞ্চম পর্বে থাকছে ৫ই মার্চের ঘটনাপ্রবাহ।