অনলাইন ডেস্ক: দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পায়রা বন্দর। পায়রা বন্দর হবে আগামীর বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে এই বন্দরের প্রাকৃতিক নাব্যতা ও চ্যানেল সুবিধা কাজে লাগিয়ে ২৯৬টি বাণিজ্যিক জাহাজ ও ১ হাজার ১৪টি দেশীয় লাইটারেজ জাহাজের পণ্য নিরাপদে খালাসের কাজ করেছে। নানা সীমাবদ্ধতা থাকার পরও ৮০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে বন্দর থেকে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আধুনিক মাস্টার প্লানের আওতায় বন্দরটি নির্মিত হচ্ছে।
আগামীতে প্রথম টার্মিনালের সাথে যুক্ত হচ্ছে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, কন্টেইনার টার্মিনাল, লিকুইড টার্মিনাল, কোল টার্মিনাল এবং এলএনজি টার্মিনাল।
পায়রা বন্দর ঘিরে অনেক কর্মযজ্ঞ চলছে। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। খুব শিগগিরই এই বন্দর হয়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র।
উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে পায়রা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
দেশের সবচেয়ে গভীর চ্যানেল নিয়ে এবছরের মে মাসে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল চালু হবে বলে জানিয়েছেন বন্দরটির চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
রোববার পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও অংশীজনদের মধ্যে মতবিনিময় সভায় এতথ্য জানানো হয়।
রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, পায়রা বন্দর হবে দেশের প্রথম স্মার্ট পোর্ট। এই বন্দর এখন আর সম্ভাবনা নয়, বাস্তবতা। আগামী মাসেই ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কার্গো নিয়ে পায়রা বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়বে।