অনলাইন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি-ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে প্রভাব পড়ে। তখন অসাধু ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক দাম বাড়ান। আর দাম কমলে নানা অজুহাতে কমাতে চান না।
আন্তর্জাতিক নিউজপোর্টাল ইনডেক্স মুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গত মে মাসে প্রতি পাউন্ড চিনি বিক্রি হয়েছিল ৪৩ সেন্টে, জুনে ৪২ সেন্ট, জুলাইতে ৪০ সেন্ট, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ৩৯ সেন্টে বিক্রি হয়।
এক টন ভোজ্যতেল মে মাসে বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৯৬৩ ডলারে, জুনে ১ হাজার ৭৫১ ডলার, জুলাইতে ১ হাজার ৫৩৩ ডলার আর সেপ্টেম্বরে বিক্রি হয় ১ হাজার ৫৪৮ মার্কিন ডলারে। আর সর্বশেষ ২৩ ডিসেম্বর বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৫৩ মার্কিন ডলারে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের খুচরা চিনি বিক্রেতারা জানান, দুই দিন ধরে বাজারে চিনির দাম বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে প্রতি ৫০ কেজির বস্তা চিনির দাম ছিল ৫ হাজার ৩১০ টাকা। গতকাল রোববার তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৪৬০ টাকায়।
রাজধানীর রামপুরা বাজারের মুদিদোকানি এনায়েত হোসেন দেড় মাস ধরে চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। তিনি জানান, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম পড়ে ১০৭ টাকা।
পরিবহনভাড়া ও অন্যান্য খরচ বাদে কেজিপ্রতি ১১০ টাকায় বিক্রি করলে লাভ থাকে না।আর প্যাকেটজাত চিনিও সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তিনি।
রাজধানীর বনশ্রী এলাকার মুদিদোকানি আবদুর রহমান জানান, সরকার-নির্ধারিত দামে তাঁরা চিনি ও তেল কিনতে পারছেন না। এ কারণে তাঁরাও নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না। গতকাল তিনি প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ টাকায় বিক্রি করেন।
১৫ ডিসেম্বর এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা, ৫ লিটার ৯০৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ১৬৭ টাকা করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর থেকে নতুন এই মূল্য কার্যকর হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দেড় মাস আগে চিনির দাম ঘোষণা দেয় উৎপাদনকারী মিলমালিকেরা। কিন্তু নির্ধারিত দামে তেল-চিনি কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় পাইকারি বাজারসংলগ্ন খুচরায় ভোজ্যতেলের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১০৭ টাকা নির্ধারণ করে গত ১৭ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয় দেশের চিনি উৎপাদনকারী কারখানাগুলো। কিন্তু দেড় মাস পরও বাজারে নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে না।
এদিকে ১৫ ডিসেম্বর ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমানো হয়। কিন্তু ১০ দিনেও বাজারে কম দামের তেল সরবরাহ হয়নি।