অনলাইন ডেস্ক: ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নদীর তলদেশে নির্মিত এটিই প্রথম টানেল। কর্ণফুলীর দুই তীরকে সংযুক্ত করে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে টানেল প্রকল্প গ্রহণ করে বর্তমান সরকার।
পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলীর অপর প্রান্তে আনোয়ারা পর্যন্ত দুই টিউব সংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। নদীর এক প্রান্ত থেকে টানেলের ভেতর দিয়ে অপর প্রান্তে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ৬ মিনিট সময় লাগতে পারে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে।
২০১৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজ উদ্বোধন করেন। প্রায় তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে স্থাপন সম্পন্ন হওয়া প্রথম টিউবের উদ্বোধন করলেন।
বাংলাদেশে নদীর তলদেশে টানেল। এটি এক সময় ছিলো স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) টানেল যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে’র দুটি টিউবের মধ্যে প্রথম একটি টিউবের উদ্বোধন করা হলো আজ। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টানেলের প্রথম টিউবটি উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরো গতিশলি হবে। বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জল হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামের গুরুত্ব আরো বাড়বে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তার আশা এই টানেল চারু চট্টগ্রামে আরো ভারী শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে।
এসময় তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এই ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা কেন বাংলাদেশের উন্নতি করতে পারেনি? এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করতে পারেনি। তারা মানুষের ভাগ্য বদলাতে চায়নি। নিজেরা ভোগ বিলাসে ব্যস্ত ছিল।
তিনি বলেন, আজকে চট্টগ্রামের সঙ্গে কথা বলছি, অনেক নেতা আমাদের মাঝে নাই। আমাদের প্রয়াত নেতারা মুক্তিযুদ্ধে বিরাট অবদার রেখেছেন। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, এক টাকাও রির্জাভ ছিল না। খাদ্য ছিল না।