21 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

মরণোত্তর চক্ষুদানও জনপ্রিয় করে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

চাকুরির খবর

অনলাইন ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায়।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরপরই আমরা স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং মরণোত্তর চক্ষুদান দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করি।

শুধু তাই নয়, আমরা ব্লাডব্যাংক ও চক্ষুব্যাংক স্থাপনের জন্য সন্ধানীকে নীলক্ষেতে একটি প্লট বরাদ্দ দেই। আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মানবদেহে সংযোজনের জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও তার আইনানুগ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ‘মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯’ প্রণয়ন করি।” 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাইলেই আমাদের স্বজনদের মৃত্যুর পর শোককে এক মহৎ সেবায় পরিণত করতে পারি। যে কোন উত্তরাধিকার তার স্বজনের মৃত্যুর পর, চোখ সংগ্রহের অনুমতি দিতে এগিয়ে আসলে দেশে কর্ণিয়া দান ও কর্ণিয়া সংযোজনে এক বিপ্লব ঘটে যেতে পারে।

তিনি  আশা করেন, সন্ধানী রক্তদানকে যেভাবে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছে, তেমনি মরণোত্তর চক্ষুদানকেও জনপ্রিয় করে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।  

আগামীকাল (২ নভেম্বর) ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।  

তিনি বলেন,  “সেই আইনে মানবদেহের কিডনি, হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, অন্ত্র, যকৃত, অগ্নাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চক্ষু, চর্ম ও টিস্যুসহ যে কোন অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ সংযোজন এবং মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনানুগ কোন উত্তরাধিকারের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অঙ্গ নেয়ার বিধান রাখা হয়েছিল।

যার ফলে স্বেচ্ছায় অঙ্গদানসহ মরণোত্তর চক্ষুদানে সকল আইনি জটিলতার সমাধান হয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১নং আইনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী আইনটিকে যুগোপযোগী করে ‘মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি।

শুধু তাই নয়, সংশোধিত আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রোডিউচার প্রয়োগের বিধান রেখেছি”। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরাপদ রক্তের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে তৎকালীন পিজি হাসপাতাল, বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।

দেশের অন্ধত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১৭ জুলাই ‘দ্যা ব্লাইন্ড রিলিফ (ডোনেশান অব আই)  ১৯৭৫’ প্রণয়ন করেন।

সন্ধানী মানবতার পথ ধরে হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগীর জীবন ফিরিয়ে দিতে ১৯৭৮ সালের ২ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রথম স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

১৯৮৪ সালের পর থেকে এপর্যন্ত তারা প্রায় পাঁচ হাজার কর্ণিয়া সংগ্রহ করেছে এবং প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে প্রায় চার হাজার জনকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে।  

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর