অনলাইন ডেস্ক: শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, গুমের রাজনীতি শুরু হয় ৭৫-এর মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডেরা পর থেকেই, আমি তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এখন তারা আবার গুমের কথা বলে।
তাদের নেতা-কর্মীদের দেখা যায় কিছু দিন কোথাও গা ঢাকা দিয়ে থাকে আবার হঠাৎ করে উদয় হয়। তখন তারা আবার এটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।
তারা ২০০১-২০০৬ সালে আমাদের কত নেতা-কর্মীকে গুম, হত্যা করেছেন তার হিসাব দিয়ে দেখেন তার পরে কথা বলেন। শেখ হাসিনার কাউকে গুম করার দরকার পড়ে না। কেন গুম করবে শেখ হাসিনা সরকার।
শেখ হাসিনা সরকার মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করে এবং অধিকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ সারা জীবন সংগ্রাম করে আসছে। আমাদের কোন গুমের রাজনীতি করার প্রয়োজন হয় না। আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতিই করি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের সৃষ্টি হয়েছিল এদেশের দুঃখি দরিদ্র ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে।
আমরা সেই রাজনীতিরই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই এবং রেখে যাবো ইনশাল্লাহ। আপনারা জানেন আজকে বিরোধী মহল এই বিশ্বমন্দা ও সংকটময় পরিস্থিতি, করোনা উত্তরণের প্রাক্কালে, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে তারা খেলার চেষ্টা করছে। এটাই তাদের চরিত্র। এটা সবসময় হয়ে আসছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ইদানিং দেখছি বিএনপি-জামাত গুম নিয়ে কথা বলছে। গুম সংস্কৃতির প্রবর্তক খুনি জিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। আমি তার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী।
আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বর্ডারে এগিয়ে দিয়ে আসার সময় আমার চাচীর মেজ ভাই বাচ্চু মামাকে কর্নেল শাহরিয়ার তুলে নিয়ে যায়। তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় নাই।