অনলাইন ডেস্ক: ২০১০ সাল থেকে প্রতিটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে আসছিল বাংলাদেশ। তবে সেরা সাফল্য ২০১৬ সালের আসরে। সেবার বাঘিনীরা রানার্স আপ হয়ে থেমেছিল। তবে এবারের আসরে অন্যবারের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি গোল করেছেন কৃষ্ণা রানি সরকার। আর ১টি গোল করেন শামসুন্নাহার। নেপালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আনিতা বাসেত।
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি আসরে ৫ ম্যাচ থেকে মোট ২৩ গোল আদায় করে নিয়েছিল বাঘিনীরা। বিপরীতে হজম করেছে কেবল ১ গোল। সেটিও জমজমাট ফাইনালে।
সাফ চ্যাম্পিয়ন্সশিপে প্রথমবারের মতো শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। তারা ইতিহাস গড়লো। এই নারী ফুটবল দল এখন সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চ্যাম্পিয়ন।
আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাবিনা খাতুন-কৃষ্ণা রানি সরকাররা- কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছেন সাবিনা খাতুনরা।
খেলা শুরুর ১৪ মিনিটেই শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। অবশ্য শুরু থেকেই যে স্বাগতিক নেপালের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন সাবিনা, মারিয়ারা।
ম্যাচের ১০ মিনিটে খেলোয়াড় বদল করে বাংলাদেশ। স্বপ্নাকে উঠিয়ে শামসুন্নাহার জুনিয়রকে নামান কোচ ছোটন। ইনজুরি আক্রান্ত স্বপ্না ভালোমতো রানিংই করতে পারছিলেন না। মাঠে নামার ৫ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন শামসুন্নাহার।
এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা রানি সরকার। ৪২ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে বাড়ানো এক থ্রু পান কৃষ্ণা রাণী সরকার। বক্সের এক প্রান্তে আনমার্কড থাকা কৃষ্ণা আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করলে বাংলাদেশের ডাগআউট আবার উৎসবে মাতে।