অনলাইন ডেস্ক: অধিনায়ক শানাকা বলছিলেন, ‘ট্রফি জেতাটা হবে দুর্দান্ত এবং তাদেরকে (দেশবাসী) কিছু ফিরিয়ে দেওয়া।’ এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে রাত ৮টায়। স্বপ্নের ট্রফি জিতবে কারা? পাঁচ বারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা নাকি তৃতীয়বার ট্রফি জয়ের আনন্দ নিয়ে ফিরবে পাকিস্তান।
তারা দুইবার ট্রফি জিতেছে (২০০০, ২০১২) এবং দুইবারই বাংলাদেশের মাটিতে। প্রথমবার বাংলাদেশের বাইরে এশিয়া কাপ জয়ের সুযোগ পাকিস্তানের সামনে। টুর্নামেন্টে ওঠা-নামা করেছে বাবর আজমদের পারফরম্যান্স। গ্রুপ পর্বে একমাত্র জয় ছিল হংকংয়ের বিপক্ষে।
সুপার ফোরে ভারত, আফগানিস্তানকে হারালেও শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের কাছেই হেরেছে বাবর বাহিনী। ফাইনালে তাই ব্যাটে-বলে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে তাদের।
ব্যাটিংয়ে রিজওয়ানের সঙ্গে অধিনায়ক বাবর ও ফখর জামানের রান পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানের জন্য। বোলিংটা খারাপ হচ্ছে না তাদের।
শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার রানের ছন্দে আছে। কুশল, নিশাঙ্কা নিয়মিতই রান করছেন। মিডল অর্ডারে শানাকা, রাজাপক্ষেও প্রয়োজনীয় কাজটা করতে পারছেন। বোলিংয়ে স্পিনাররাই মূল শক্তি। হাসারাঙ্গা, থিকশানার সঙ্গে পেসাররা জ্বলে উঠলে লঙ্কানদের থামানো কঠিন হবে।
কাগজে-কলমে এশিয়া কাপের ১৫তম আসরের আয়োজক শ্রীলঙ্কা। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কলম্বো থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে টুর্নামেন্ট। মরুর বুকেও ‘স্বাগতিকদের’ মর্যাদা যেন মাঠের ক্রিকেটে ধরে রেখেছে শ্রীলঙ্কা দল। আসরের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল তারা।
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টানা চার ম্যাচ জিতে দাসুন শানাকার দল এখন ফাইনালের মঞ্চে। স্বাগতিক হিসেবে ফাইনালটা যদি কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে খেলতে পারত শ্রীলঙ্কা দল, হয়তো এর চেয়ে সুন্দর আর কিছু হতো না। তবে দেশবাসীকে ট্রফির আনন্দে ভাসাতে চায় শ্রীলঙ্কা দল।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে দুই আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল ও গাজী সোহেলের মাধ্যমে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব টিকে ছিল।
এবার দুবাই স্টেডিয়ামে আজকের ফাইনালেও লাল-সবুজ পতাকার বাহক হবেন আম্পায়ার মুকুল। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণের লড়াইয়ে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।