...
Friday, May 16, 2025

আফগানিস্তানের মহিলারা অধিকার ফিরে পেতে মরিয়া

চাকুরির খবর

অনলাইন ডেস্ক: কিন্তু যাঁরা রয়ে গেলেন, কেমন আছেন তাঁরা? প্রথম সারির এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের কাছে তালিবানি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কাবুলের উচ্চশিক্ষিত মহিলারা।

সম্প্রতি সরকারি স্তরে কর্মরত মহিলাদের ডেকে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন পরিবারের কোনও পুরুষ সদস্যের হাতে নিজেদের চাকরি তুলে দেন। সে জন্য চাওয়া হয়েছে সিভি-ও। ‘‘এটা আমার চাকরি।

গত ১৭ বছর ধরে বহু পরিশ্রম করে এটা আমি টিকিয়ে রেখেছিলাম। কষ্ট করে পড়াশোনা করে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলাম। এখন আবার শূন্যে ফিরে গিয়েছি,’’ বললেন অর্থ মন্ত্রকের প্রাক্তন এক মহিলা কর্মী। নাম প্রকাশ করতে চান না কেউই।

কিন্তু সকলের বক্তব্যই প্রায় সমান। কষ্ট করে নিজেদের অর্জন করা চাকরি পরিবারের পুরুষ সদস্যের হাতে ছেড়ে দিতে চান না তাঁরা। রাজস্ব বিভাগের এক প্রাক্তন মহিলা কর্মী জানালেন, মাথা ও গোটা শরীর ঢেকে রাস্তায় বেরোনোর পরে এক বার এক তালিবানি রক্ষী তাঁকে আটকে বহু প্রশ্ন করছিলেন। তাঁকে তিনি সপাটে জবাব দেন যে, হিজাব ছাড়াও বহু জরুরি কাজ রয়েছে যার দিকে এখন সরকারের মন দেওয়া উচিত।

তালিবান সরকার অবশ্য দাবি করেছে, অনেক ক্ষেত্রে এখনও মহিলাদের কাজ করার অনুমতি দেওয়া আছে। যদিও সে সংখ্যাটা হাতে গোনা। বিমানবন্দর, শিক্ষা ক্ষেত্র আর নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া অন্য কোনও কাজেই এখন আর দেখা যায় না আফগান মহিলাদের।

যাঁদের সরকারি চাকরি কার্যত কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা এখনও মাইনে পান বলে দাবি করা হলেও সেই অঙ্কটা খুবই সামান্য বলে জানিয়েছেন বরখাস্ত হওয়া মহিলা কর্মীরাই।

আফগান নারীদের উচ্চ শিক্ষার দরজাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে আগেই। হেরাটের এক মেধাবী ছাত্রী যেমন জানাল, ক্লাসে প্রথম হওয়া সত্ত্বেও লেখাপড়া বন্ধ করে বসে থাকতে হচ্ছে তাকে।

দ্বাদশের পরীক্ষায় পাশ না-করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে না সে। কবে তালিবান মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার দরজা ফের খুলবে সেই আশায় বসে আছে সে। তবে নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিতে নারাজ ওই কিশোরী। তার জেদ, এর শেষ দেখে ছাড়বে সে।

এ সবের সঙ্গেই রয়েছে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার খরা আর দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ছবি। রাষ্ট্রপুঞ্জ আগেই জানিয়েছিল, গোটা দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ অনাহারে ধুঁকছেন। ঘোর প্রদেশের অন্তত দু’টি জেলায় ইতিমধ্যেই দুর্ভিক্ষের কথা ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বৃষ্টির অভাবে ফসল ফলছে না রুক্ষ জমিতে। নুর মহম্মদ নামে এক তরুণ চাষি বললেন, ‘‘দারিদ্র আর দুর্ভিক্ষের সঙ্গেও তো লড়াই চালাতে হয়। আর সেটা বন্দুকের লড়াইয়ের থেকে অনেক বড় লড়াই।’’

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.