অনলাইন ডেস্ক: এই দুই সামরিক স্বৈরশাসকের কোনো জনবান্ধব বা রাষ্ট্রবান্ধক রাজনৈতিক দর্শন ছিল না উল্লেখ করে জয় বলেন, ‘১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সরকারের শোষণের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে জন্ম হয় আওয়ামী লীগের।
এই দলের হাত ধরেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে জনগণ। সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় দলটি। কিন্তু বাংলাদেশের তথাকথিত বড় দুই বিরোধী দলের অবস্থান ঠিক এর উল্টো।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্মই হয়েছে রাতারাতি সরকারি দল হিসেবে। সংবিধান ও সেনা বাহিনীর নিয়ম ভঙ্গ করে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ভূ-লুণ্ঠিত করে যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের পিঠ বাঁচানোর ঢাল হিসেবে গঠন করা হয়েছিল দল দুটি।
এ কারণে এই দুই দলের কোনো শক্ত জনভিত্তি নেই। ফলে, দেশের গণতন্ত্রের বিকাশে বিরোধী দল হিসেবে এদের ভূমিকা শূন্য।’
তিনি বলেন, ‘মূলত, অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বিএনপি গঠন করেছিল স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। এই দলের ছাত্র সংগঠন খোলার অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় সে।
দেশজুড়ে কমিটি দেয়ার ছদ্মবেশে সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের নিয়ে বিশেষ বাহিনী গঠন করে বিএনপি। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানও সেই ধারা অব্যাহত রাখে।’
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি আসলে রাজনৈতিক দলের মুখোশ। এই মুখোশ পরে দুর্বৃত্তরা দেশের সম্পদ লুট ও অর্থ পাচার করে বিদেশে। দেশের ভেতরে তারা উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটায়।
এই দল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যেমন জনসম্পৃক্ততার সম্পর্ক শূন্য, তেমনি এই দলের নেতাদের সঙ্গেও কর্মীদের সম্পর্ক হয় অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে। তারেক রহমানকে চাহিদা মতো টাকা না দিলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান না নিজ দলের নেতাকর্মীরাও।
তাই, সরকারে থাকলে সাধারণ মানুষের ওপর লুটপাট ও নির্যাতন এবং বিরোধী দলে থাকলে বিদেশিদের কাছে নালিশ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে দলটি।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের বিএনপি ও এরশাদের জাতীয় পার্টি গঠিত হয়েছিল অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বৈধতা দেয়ার জন্য। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে এসব দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাজনীতির নামে নিয়মিত সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে দল দুটি।’
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বিরোধী দল দাবিকারী বিএনপি নেতাদের জনমুখী বা কল্যাণকামী কোনো রাষ্ট্রদর্শনও নেই। উল্টো তাদের দলের গঠনতন্ত্রেই উৎসাহিত করা হয়েছে দুর্নীতিকে। দুর্নীতিবাজদের দ্বারা দল পরিচালনার জন্য গঠনতন্ত্র সংশোধনের ইতিহাস পৃথিবীর ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই।’ সূত্র: বাসস