অনলাইন ডেস্ক: ১৯০৪ সালে বিখ্যাত অন্তর্বাস প্রস্তুতকারী সংস্থা কুপার এক বিশেষ ধরনের জামা তৈরি করে। যেখানে কোনও বোতাম লাগানোর ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। মূলত ‘সিঙ্গেল ব্যাচেলর’দের কথা ভেবেই এই বিশেষ ধরনের জামা তৈরি করে তারা।
তখনকার সময়ের একটি নামী মার্কিন পত্রিকায় সংস্থার পক্ষ থেকে এই বিশেষ ধরনের জামার বিজ্ঞাপণ দিয়ে লেখা হয়, ‘যে সমস্ত যুবক অবিবাহিত এবং সিঙ্গেল, যারা জামার বোতাম ছিঁড়ে গেলে সেলাই করে নিতে পারবেন না, এ জামা তাদের জন্যই!’
১৯৮০-এর দশক থেকে ব্যক্তিগত ভাবাবেগ প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে টি-শার্টের ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।১৮৮০-এর দশকে ডিজাইনার ক্যাথরিন হ্যামনেট বড় করে স্লোগান ছাপানো টি-শার্টের ডিজাইন করা শুরু করেন।
২০০০-এর দশকে স্লোগান সমৃদ্ধ টি-শার্টের প্রচলন শুরু হয়। এছাড়াও হাস্যরসাত্মক বার্তাবাহী টি-শার্টের প্রচলনও শুরু হয়। এই দশকের শেষে এসে এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়ে।
কারণ, ব্রিটনি স্পিয়ার্স ও প্যারিস হিলটনের মতো শীর্ষতারকা ব্যক্তিত্বরা এ ধরনের টি-শার্ট ব্যবহার করা শুরু করেন। বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক বার্তাও টি-শার্টে স্থান পেতে শুরু করে। এছাড়া তথ্য প্রদানেও টি-শার্টের ভূমিকা আছে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠান, দিবস প্রভৃতিকে লক্ষ্য রেখে সে সংক্রান্ত কিছু তথ্য সংকলনও টি-শার্টের ডিজাইনে ব্যবহৃত হয়।
কারও কারও দাবি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন নৌ-বাহিনীর জন্যই বিশ্বে প্রথম টি-শার্ট তৈরি করা হয়। এ প্রসঙ্গে একাধিক তথ্যকে বিচার করে বলা যেতে পারে ১৮৮৯ সাল থেকে ১৯১৩ সালের মধ্যে তৈরি করা হয় টি-শার্ট। আর এই টি-শার্ট এখন সারাবিশ্বে জনপ্রিয়।