বিডিনিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “অনেক অসৎ ব্যবসায়ী সুযোগ পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
তাই এখন থেকে ট্যারিফ কমিশন নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেল, ডাল ও চিনির দাম অনেক বেড়েছে। ৬শ’ টাকা টনের ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১৩শ’ ডলারে উঠেছে। একইভাবে ডাল চিনির দাম বেড়েছে।
আমাদের ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রতি বছর ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ১০ শতাংশ তেল দেশে উৎপাদিত সরিষা থেকে আসে।”
তিনি বলেন,“পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছি। এসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানির পর ট্যারিফ কমিশন বসে দাম নির্ধারণ করে দেয়। তারপরও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় দাম বাড়িয়ে দেয়।
এজন্য জেলায় জেলায় দাম মনিটরিংয়ের জন্য ডিসিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।”
টিপু মুনশি জানান, “ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা বলছেন, তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।
প্রতিকেজি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ পড়ে ১৪ টাকা, আর বিক্রি করছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা। সে কারণে বিদেশ থেকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি করতে নিষেধ করেছেন কৃষকরা।”