22 C
Dhaka
Saturday, November 23, 2024

দেশবিরোধী প্রচারণার জন্য আমেরিকার ৩টি ফার্মকে ৩১ কোটি টাকা দেয় বিএনপি

চাকুরির খবর

দীর্ঘ ১৪ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় নাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দুর্নীতির দায়ে দুই বছরের বেশি সময় কারা ভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের অনুকম্পায় ছয়মাসের জন্য জামিন নিয়ে অসুস্থতার ভান ধরে বিগত দেড় বছর ধরে অবমুক্ত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তবে এখন তিনি হাসপাতালে।স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির সময় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামল। ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।দীর্ঘদিন ধরেই অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায়।

তবে আলোচনা হলেও বারবার বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, তারা লবিস্ট নিয়োগ করেনি। তবে সেই সত্যকে মিথ্যে করে দিয়ে ফাঁস হয় ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে দেওয়া বিএনপি ও লবিস্ট ফার্ম ব্লু-স্টার স্ট্র্যাটেজিসের বেশ কয়েকটি চিঠি।

যে চিঠিগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাড়ে ৩ মাস পর ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল মার্কিন সিনেট কমিটি, সাব কমিটি ও হাউস কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য মিলিয়ে ৫ জনকে চিঠি লেখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

একইভাবে ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখেও আরেকটি চিঠি লেখেন বিএনপির এই তৃতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। সবগুলো চিঠিতেই ছিল, দেশ ও সরকারবিরোধিতার স্পষ্ট ছাপ।২৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ খুললেন দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি সংবাদিকদের এক প্রশ্নে বলেন,লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি মিথ্যে নয়। তবে সেটা বিশেষ উদ্দেশ্যে এবং বিএনপির নীতি নির্ধারকদের পরামর্শেই হয়েছে।

বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নিয়ে টিআইবি’র পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সরকারের পক্ষ হতে লবিস্ট নিয়োগ করা হয় দেশের স্বার্থের জন্য।

এবং এটি সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। বিএনপি কেন লবিস্ট নিয়োগ করেছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। এবং বিএনপি লবিস্ট নিয়োগের টাকা বৈধ প্রক্রিয়ায় করে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানত।যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃপক্ষ এটি জানেন না।

তাহলে তাদের লেনদেনটি অবৈধ প্রক্রিয়ায় হয়েছে এবং এটি মানি লন্ডারিং এর পর্যায়ে পড়েছে।সরকার চাইলে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে বিএনপির বিরুদ্ধে।

বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে সাধারণ জনগণ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে এক শিক্ষক বলেন,দীর্ঘ ১৪বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে।তাদের আয়ের উৎস কি এটি প্রথমে জানা দরকার।

লবিস্ট নিয়োগে বিএনপি ৪১লক্ষ ডলার খরচ করেছে এই টাকার উৎস কোথায়।যদি বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করে তাহলে সরকারের উচিত বিএনপির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা দেওয়া হউক।

অনুসন্ধানে জানা যায়,নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া গত দশ বছরের হিসাব অনুযায়ী – বিএনপি’র গত ১০ বছরের ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ২৮কোটি। ২০১৫ সাল থেকে ৩ টি লবিস্ট ফার্মের কাছে বিএনপি পরিশোধ করেছে ৩১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা।

যা তারা নির্বাচন কমিশনে প্রদত্ত ব্যয়ে উল্লেখ করেনি।যারা দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে সরকার বিদেশে টাকা পাচার করছে বলে মুখে ফেনা তুলল, এখন ত প্রমাণ হল তারাই টাকা পাচার করেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে কমিটি বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য করে বিএনপি এই টাকা প্রচার করেছে বিদেশে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন,সকল নাটকীয়তা ও জল ঘোলা শেষে অবশেষে বিদেশে নিজেদের লবিস্ট নিয়োগের কথা স্বীকার করেছে বিএনপি।দেশকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বিএনপি যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিএনপি দেশদ্রোহীর কাজ করেছে। এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য দেশকে বিক্রি করে দিতে পারে তা আবার প্রমাণ হল।

সূত্র: ঢাকা টেলিভিশন

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর