লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য ৭০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। এতে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থাগ্রস্থ ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসবে।
বেসরকারী এনজিও ডরপের সহযোগীতায় ১৩ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকালে উপজেলার উত্তর চর আবাবিল উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিতা কেটে এই কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়পুর রাসেল ইকবাল।
ইউপি চেয়ারম্যান জাফর উল্যাহ দুলাল হাওলাদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডরপের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল মালেক, জেলা ম্যানেজার বলরাম চক্রবর্তী, ডেপুটি ম্যানেজার মো: অহিদুজ্জামান লিটন, রায়পুর উপজেলা ম্যানেজার মো: হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য আবু তাহের, স্থানীয় বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে জরীপের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন বলেন, এনজিও ডরপের বাস্তবায়নে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় রায়পুর উপজেলার ঝরে পড়া ৮-১৪ বছরের শিশুর জন্য প্রতি উপজেলায় ৭০ টি করে ৪২ মাস এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
তিনি আরোও বলেন, অভিভাবকদের দারিদ্রতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, শিশুশ্রম ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। আবার অনেকে বিভিন্ন কারনে স্কুল থেকে ঝরে পড়ে।
এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝড়ে পড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে। এতে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।