জামালপুর প্রতিনিধি: মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষা কর্মকর্তাকে থাপ্পড় দেওয়া জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা পর মেয়র পদ থেকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌরসভা-২ শাখার উপ-সচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেওয়ানগঞ্জ পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষা কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান।
এ ঘটনায় মেয়রের বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা করার পর তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।
শাহনেওয়াজের আচরণ শিষ্টাচার বহির্ভূত ও অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের শামিল, যা প্রশাসনের দৃষ্টিতে সমীচীন নয় এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী।
এ কারণে তাকে স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩১-এর উপ-ধারা (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্দেশক্রমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
একই ঘটনায় সোমবার (২০ ডিসেম্বর) শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাইস্কুল মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের দায়িত্ব পান ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মেহের উল্লাহ।
ভোর থেকে ওই মাঠের শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলেন।
এ সময় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ শাহনেওয়াজ শাহানশাহ ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন। উপস্থাপক শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মাইকে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের নাম ঘোষণা করছিলেন।
পৌরসভার নাম ৫ নম্বরে ঘোষণা করায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং থাপ্পড় মারেন মেয়র।
সবার সামনে এই ঘটনা ঘটলেও প্রতিবাদ করেননি কেউ। ওই দিন রাত ৯টায় ভুক্তভোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মেহের উল্লাহ বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।