ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত পরশু দিন রাতের ঘটনা থেকে সেটি স্পষ্ট। ছাত্রদের গায়ে কালেমা লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ছাত্ররা অনেক দিন ধরে আন্দোলন করছে, তারা কিন্তু কোনো জায়গায় গাড়িতে আগুন দেয়নি, এমনকি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেনি। ছোটখাটো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু বড় ভাঙচুরের ঘটনা সেভাবে ঘটেনি। অথচ সেদিন ঘটনার ১৫ মিনেটের মধ্যে ১২ থেকে ১৫টি বাসে আগুন দেয়া হলো।
মন্ত্রী বলেন, এগুলো দুষ্কৃতিকারীরা করেছে, যারা দেশে কোনোকিছুর ওপর ভর করে অতীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আজকেও এই ছাত্রদের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টার উদ্দেশ্যে এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
জড়িতদের তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হচ্ছে এবং হবে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে নিশ্চয়ই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইতোমধ্যে মামলাও হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। সরকার ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেও জানান ড. হাছান।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিআরটিসি বাসে ছাত্রদের হাফ ভাড়া যেভাবে সারাদেশে কার্যকর করা হয়েছে, আমি ব্যক্তিগতভাবেও আশা করব চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরের ক্ষেত্রেও বেসরকারি বাসমালিকরা একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবেন।