22 C
Dhaka
Saturday, November 23, 2024

দেশ স্বাধীন হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে, পাকিস্তানিদের দোসররা মানতে পারেনি: প্রধানমন্ত্রী

চাকুরির খবর

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমরা প্রতীক্ষায় ছিলাম কখন আমাদের পিতা ঘরে আসবেন। কিন্তু আমরা বাবাকে পাই পরে, জনগণ পায় আগে। তার কাছে জনগণই ছিল সব থেকে বড়।

বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্খা ছিল দেশটাকে গড়ে তুলবেন। বাংলাদেশকে সাজাবেন, যেন প্রতিটি মানুষ নাগরিক সুবিধা পায়। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন।

দেশের উন্নয়নে তিনি স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করতে শুরু করেন। একটি প্রদেশ থেকে দেশে উন্নীত করার যত আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি সবই তিনি করে দিয়ে যান।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে চলার পথেও অনেক বাধা আমাদের অতিক্রম করতে হয়েছে। শত বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামনে আরও এগিয়ে যেতে হবে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে আনা ১৪৭ বিধির প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে নিজেই প্রস্তাবটি তোলেন। দুদিন আলোচনা করে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এ প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হবে।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কাঠামো করে রেখেছি। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চাই সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা করে রেখেছি।

জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বাংলাদেশ ও আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন বেঁচে থাকতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখে এই ব-দ্বীপটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য ডেল্টা প্লান-২১০০ আমরা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দিয়েছি। এই ব-দ্বীপ অঞ্চলে যারা বাস করে তারা যেন সুন্দর জীবন পায়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন উন্নত জীবন পায়। তাদের যেন আর কষ্ট করতে না হয়।

তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন দেশ চালাচ্ছি। যখন কোনো কাজ করতে যাই দেখি প্রতিটি কাজের ভিত্তি জাতির পিতা তৈরি করে দিয়ে গেছেন। আমার কাছে বিস্ময় মনে হয়, এত অল্প সময়ে কীভাবে এত কাজ করে যেতে পারেন।

দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো যখন তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলছিলেন তখন কিছু লোক মনে হয় যেন একটু অস্থিরতায় ভুগছিলেন। এ সময় নানা ধরনের কথা, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের হত্যা করা…।

পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সারেন্ডার করেছিল ঠিকই কিন্তু তারা তাদের কিছু দালাল যুদ্ধাপরাধীদের রেখে যায়। তারা আমাদেরই মুক্তিযুদ্ধের অংশকে হাতিয়ে নিয়ে দেশের ভেতরে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।

এত অল্প সময়ে বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রাটা তাদের সহ্য হয়নি। দেশ স্বাধীন হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে তা পাকিস্তানিদের দোসররা মানতে পারেনি।

বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় নানা ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, চক্রান্ত মোকাবিলা করেই জাতির পিতা দেশকে গড়ে তুলছিলেন। দেশ যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

কারও কাছে যেন হাত পাততে না হয় তার জন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দেন। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করতে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করেন। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করেন।

বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, তিনি যে কাজগুলো করতে চেয়েছিলেন, এজন্য আর ৫টি বছর যদি তিনি হাতে সময় পেতেন, বাংলাদেশ উঠে দাঁড়াত। আজ যে সম্মানজনক অবস্থানে আমরা আসতে পেরেছি জাতির পিতা বেঁচে থাকলে সেই জায়গায় আমরা স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারতাম।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর