বিডিনিউজ ডেস্ক: সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কারণ বাংলাদেশের কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়। সুতরাং যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো দুষ্কৃতিকারীরা ঘটিয়েছে এবং এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
এর প্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, সেটি সরকার দমন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা রাজনৈতিকভাবেও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু যারা এই ষড়যন্ত্রটা করেছিল তারা আরো ষড়যন্ত্র করবে। কারণ তারা সময়ে সময়ে এ ধরনের নানা ঘটনা ঘটিয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণের শুরুতে গুজব রটিয়ে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে এবং অতিসম্প্রতি পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করেছিল।
আমরা তাদের দমন করেছি। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্র এবং কুচক্র পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে সেটি আমি মনে করি না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থিতি আছে, তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলার জন্য, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য, প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের সুসম্পর্কের ওপর কালিমা লেপন করার হীন উদ্দেশ্যে দুর্গাপূজাকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন জায়গায় হামলা পরিচালনা করা হয়েছে।
আমাদের সরকার দৃঢ় হাতে সেটি দমন করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আমাদের দল অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে।
তবে তাদের উদ্দেশ্য হীন, তারা এ ধরনের আরো গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবে। তাই আমি নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাবো যে, আপাতত এই দুষ্কৃতিকারীরা নিবৃত্ত হয়েছে মনে হলেও আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।