রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি শহরস্থ পৌরসভাধীন কাপ্তাই হ্রদের উপকন্ঠে অবস্থিত রেকর্ডীয় জমি জনৈক ভূমি দস্যু কর্তৃক অবৈধভাবে দখল হওয়া ও সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার।
রাঙামাটি শহরের বনরূপাস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে শনিবার দুপুরে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী নিগার সূলতানা জানান, আমি রাঙামাটির মেয়ে। আমার প্রয়াত বাবা মোঃ মনোয়ার চাকুরি ও ঠিকাদারী ব্যবসাসূত্রে অত্রাঞ্চলেই বসবাস করতেন।
সংসারজীবন পরবর্তী আমার স্বামীর ব্যবসাসহ আমার দুই সন্তানকে মানুষ করার লক্ষ্যে আমরা বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছি।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাঙামাটি শহরের দেওয়ান পাড়ায় আমাদের পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত দুই একর রেকর্ডীয় জমি তবলছড়ির স্বর্ণটিলার বাসিন্দা ভূমিদস্যু ভূয়া এ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সালাউদ্দিন গং অবৈধভাবে সন্ত্রাসীদল নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক পাকা স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্ঠা চালায়।
আমরা খবর পেয়ে সেখানে গেলে জাহিদ তার দলবল নিয়ে আমাদেরকে আমাদের জায়গা থেকে চলে যেতে বলে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে এবং শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলার হুমকি দেয়।
এমতাবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনানিপাত করছি। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী দম্পতি জানান করেন, ইতিমধ্যেই আমরা বিষয়টি রাঙামাটির জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জসহ গোয়েন্দা সংস্থা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি এবং তাদের পরামর্শ অনুসারে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছি।
সেই আলোকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নির্দেশনানুসারে উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে।
এসময় কর্তব্যরাত পুলিশ কর্মকর্তার সাথেও দুর্ব্যবহার করে ভূমিদস্যু জাহিদ। এই ঘটনায় প্রশাসনে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাহিদ ও তার সন্ত্রাসীবাহিনীর বিভিন্ন মাধ্যমে একের পর হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যাতে করে উক্ত জায়গা আমরা ছেড়ে পালিয়ে যাই।
বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছেন এমন মন্তব্য করে উক্ত ভূক্তভোগী পরিবার তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন জানিয়েছেন, আমরা ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে কেউ রেহাই পাবেনা। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, কেউ পুলিশের সাথে সখ্যতার দাবি করে কেউ যদি কোনো ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড চালাতে চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।