বিডিনিউজ ডেস্ক: হোটেল ম্যানেজমেন্টে পড়া মানে শুধু রান্না শেখা নয়। তার চেয়ে বিরক্তিবিহীন ভাবে হাসি মুখে সমস্ত পরিস্থিতিতে সৌজন্যতা বজায় রাখা, কীভাবে অতিথিকে আপ্যায়ন করা যায়, বাড়ির বাইরে আন্তরিকতার পরিবেশ দেওয়া যায়, হোটেল ইন্ডাস্ট্রির সাথে সরাসরি ভাবে সম্পর্ক যুক্ত বিভিন্ন ম্যানেজমেন্টের পদ্ধতিই হল হোটেল ম্যানেজমেন্ট।
আর তাই হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে চাকরি আজ আর শুধুমাত্র হোটেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াদের এখন কদর বেড়ছে, ব্যাঙ্ক, সার্ভিস সেক্টরেও।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট এ সাধারণত ফুড প্রোডাকশন (কিচেন এবং বেকারি-সহ), ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিসেস, হাউসকিপিং এবং ফ্রন্ট অফিস ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হয়।
থাকে নিউট্রিশন, হোটেল অ্যাকাউন্ট্যান্সি, অ্যাপ্লিকেশন অব কম্পিউটার, ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট, স্ট্র্যাটিজিক ম্যানেজমেন্ট, ট্যুরিজম মার্কেটিং ইত্যাদি আরও নানা বিষয়।
এইচএসসি পাসের পর ভর্তি হতে পারেন হোটেল ম্যানেজমেন্টে। এই পেশায় আসতে হলে কয়েকটি দক্ষতা থাকা বা গড়ে তোলা জরুরি।
ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে বাংলা এবং ইংরেজি সাবলীল ভাবে কথা বলতে জানতে হবে। দু’-একটা বিদেশি ভাষা জানা থাকলে ভাল হয়।
কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে মাথা ঠান্ডা রেখে হাসি মুখে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই পেশায় একটা বড় গুণ হল ধৈর্য। কাজের ক্ষেত্রে ছোট-বড় বিচার করলে চলবে না।
প্রয়োজনে তোমাকে হয়তো এমন কাজ করতে হতে পারে, যেটা তোমার কোনও অধস্তন বা অন্য বিভাগের কর্মীর করার কথা।
প্রয়োজনে সে কাজও হাসিমুখে করার মানসিকতা না থাকলে হসপিটালিটি শিল্পে কাজ করা মুশকিল। এই পেশায় সময়ের কোনও ঠিক থাকে না।
বিভিন্ন শিফটে অনেক ক্ষণ কাজ করার জন্য নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত রাখতে হয়। নিয়মানুবর্তিতা, সময়জ্ঞান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সপ্রতিভতার মতো বৈশিষ্ট্যও এই পেশার ক্ষেত্রে জরুরি।
হোটেল ম্যানেজাররা একটি হোটেলের যাবতীয় কাজকর্মের প্ল্যানিং, মার্কেটিং, কোঅরডিনেটিং এবং অ্যাডমিনিসট্রেটিভ বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম, ক্যাটারিং ইত্যাদি সামলে থাকেন।
এছাড়াও নানান ধরনের কাসটমার হ্যান্ডলিং, তাদের সঠিকভাবে দেখাশোনা, থাকা ও খাওয়া সংক্রান্ত সমস্ত খোঁজখবর ইত্যাদি ব্যাপারগুলি লক্ষ্য রাখাও তাদের কাজ।
আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে ট্যুরিজম এবং হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির একটি সাঙ্ঘাতিক গ্রোথ লক্ষ্য করা গেছে। ভারতবর্ষ পর্যটনের একটি অন্যতম জায়গা হিসেবে পরিচিত।
প্রায় সারা পৃথিবীর মানুষই এখানে বেড়াতে আসেন। যদিও বর্তমান করোনাকালীন পরিস্থিতির কথা একটু আলাদা। তবে আশা করা যায় আমরা করোনার গ্রাস কাটিয়ে খুব শীঘ্রই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবো।
সাম্প্রতিককালে করোনাকালীন পরিস্থিতির আগে পর্যন্তও দেশের মোট ভ্রমণকারীর সংখ্যা এবং বিদেশী মোট ভ্রমণকারীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছিল।
তবে অনুমান করা হচ্ছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিকে অতিক্রম করে আবার খুব শীঘ্রই আগের লাভজনক অবস্থায় ফিরে আসবে হোটেল ইন্ডাস্ট্রি।