গতকাল (মঙ্গলবার) সজীব ওয়াজেদ জয়, ভার্চুয়াল প্লাটফরমে সোনালী ব্যাংকের রেমিটেন্স সেবা ব্লেজ চালু করেন। ‘ক্যাশ লেস সোসাইটি হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ।’
জয় এর এই বক্তব্য দেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে তরুণরা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার বক্তব্যে উৎসাহিত হয়েছেন।
জয়ের হাত ধরেই বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। বাংলাদেশ ফোর জি যুগে প্রবেশ করেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গর্বিত মালিক হয়েছে বাংলাদেশ। তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লবের এই রূপকার সরাসরি রাজনীতি থেকে নিজেকে দুরে রাখেন। তবে, বিভিন্ন ইস্যুতে খোলামেলা মন্তব্য করতে মোটেও পিছপা হন না। এই ব্যাপারে জয়ের সংগে তার মায়ের অদ্ভুত মিল পাওয়া যায়।
নিজের বিশ্বাস স্পষ্ট করে বলা শেখ হাসিনার অন্যতম এক বৈশিষ্ট্য। সজীব ওয়াজেদ জয় এই বৈশিষ্ট্যকে যেন পুরোপুরি ধারণ করেছেন। স্পষ্ট কথা বলার জন্য শেখ হাসিনা তার দলে আগে সমালোচিত হতেন। কিন্তু পরে দেখা গেল, এটাই তার সব থেকে বড় শক্তি। এখন অনেক বিষয়েই আমরা দেখি সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্পষ্ট উচ্চারণ। এনিয়েও কান পাতলে নানা রকম কথা শোনা যায়।
অনেক ‘মুরুব্বী’ রাজনীতিবিদ বলেন ‘জয় যদি সরাসরি রাজনীতিতে আসেন, তাহলে তাকে কৌশলী হতে হবে।’ বিশেষ করে ডেইলী স্টারের মাহফুজ আনামকে সমালোচনা করে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর, এধরনের কথা আওয়ামী লীগেই অনেকে বলেছেন। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের নেতারাই আবার জয়ের প্রশংসা করেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় অবশ্য এসব কানে তোলেন না। যা তার বিশ্বাস তা তিনি অকপটে বলেন। জয় সরাসরি রাজনীতিতে আসবেন কিনা কিংবা আওয়ামী লীগের পরবর্তী কান্ডারী জয় কিনা, এ এক মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে, জয় যেন অনেকটাই পাদপ্রদীপে এসেছেন। বিশেষ করে এবার তার জন্মদিনটা ছিলো অন্যরকম ব্যতিক্রমী। তার জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী সরকারী কর্মকর্তাদের সংগে এক সভা করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী জয়ের জন্মদিনকে স্মরণ করেছেন আবেগময় ভাবে। ঐ দিন জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ডাক টিকেট অবমুক্ত করা হয়েছে।
এরপরেরই গুঞ্জন উঠেছে, তাহলে কি জয়ই আওয়ামী লীগের পরবর্তী কান্ডারী। তবে, আওয়ামী লীগ সভাপতি এরকম কোন সিদ্ধান্ত এখনও নেননি বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।
শেখ হাসিনা চাপিয়ে দেয়া নেতৃত্ব নয় বরং তৃণমূলের আকাঙ্ক্ষার নেতৃত্ব চান। তাই জয়ের রাজনীতির ভবিষ্যৎ বলে দেবে সময়ই।
বাংলা ইনসাইডার