ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসাবে বদলে গেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ভবনের চিত্র। তবে উপজেলায় অনেক অফিস থাকলেও ব্যতিক্রম সমাজসেবা অফিস।
“ইচ্ছে যদি থাকে ভালো কিছু করার, সীমাবদ্ধতা কোন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না” এমন দৃষ্টান্ত রেখে সমাজসেবা কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে জাতির জনকের জন্মভূমির সাথে সঙ্গতি রেখে অফিসের ভিতরে তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার।
যা এরআগে উপজেলার কোন সরকারি অফিস করেনি বা নেয়নি উদ্যোগ। সমাজসেবা কর্মকর্তা মানব রঞ্জন বাছাড় এই উদ্যোগের কারণে প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বমহলে।
২০১৯ সালে টুঙ্গিপাড়া সমাজসেবা কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোঃ নুরুল কবির। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে প্রথমদিকে ১০ টি থাকলেও বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা ৩০ টি।
তারমধ্যে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত ২০ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১০ টি বই রয়েছে।
এ কর্নারে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন বই। এছাড়াও স্থান পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্থিরচিত্র তথ্য ও ইতিহাস। উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার দৃশ্যপট।
উপজেলা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক লিংকন মোল্যা বলেন, শুনেছি মানব রঞ্জন বাছাড় কাস্টমসের চাকরি ছেড়ে টুঙ্গিপাড়ায় সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন। যোগদান করার পর ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভালোবাসা থেকে যে কর্নার অফিসে করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে না জানলে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানা সম্ভব নয়। টুঙ্গিপাড়ার গুরুত্বপূর্ন অফিস গুলোতে যদি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার থাকে এবং সেই বইগুলো যদি মানুষ পড়তে পারে তাহলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম আরো বেশি জানতে পারবে। উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে অনেক ধন্যবাদ এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগের জন্য।
সমাজসেবা কর্মকর্তা মানব রঞ্জন বাছাড় জানান, বঙ্গবন্ধুর কারণেই পরাধীনতার শৃংখল থেকে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। জাতির জনকের জন্ম ভ‚মির মানুষকে সেবা দানের সুযোগ পাওয়াটা সৌভাগ্যের বিষয়।
আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ অনেক বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করি। তাই সেবা গ্রহীতাদের সেবা প্রাপ্তির পাশাপাশি তাদের সেবা প্রাপ্তির স্থানটিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার করেছি।
সমাজসেবা অফিসে অনেক মানুষ সেবা নিতে আসে। যদি সেবা পেতে একটু সময় লাগে তাহলে তাদের বই দেয়া হয় পড়তে। এতে তাদের সময় সহজেই কেটে যায়। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বইয়ের সংখ্যা আগামীতে আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি।