নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে রক্তপাতের রাজনীতি শুরু হয়েছিল।
একই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও ছেলে তারেক বাংলাদেশে খুন, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজনীতি কায়েম করেছিল।
জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বাংলাদেশের মানুষ একটি খুনী পরিবার হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তারা যেন বাংলাদেশের রাজনীতি ও জনপদকে কলংকিত করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
বাংলাদেশে খুনিদের আর কোন স্থান হবে না। কিন্তু ভরাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হয় আজও ১৫ আগস্টে অত্যন্ত তাচ্ছিল্য ভাবে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়।
রবিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করা যাবে না সেই আইন সংসদে পাস করা হয়েছিল।
তাই দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা হয়নি। ১৯৯৬ সালে জনগনের রায়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তখন সেই আইন বাতিল করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ প্রশস্ত করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালের পরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার আবার আটকে রাখা হয়।
২০০৯ সালের পর থেকে আবার বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বিচার করা হচ্ছে জাতির পিতার খুনিদের। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
খালিদ চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদেরকে দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। খুনিরা এক সময় মনে করেছিল বাংলাদেশে তাদের বিচার হবে না। এছাড়া২১ আগস্টেরও জঘন্যতম ঘটনা ঘটানোর শাস্তি পেতে হবে খুনিদের।
এর আগে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ ও ২১ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, ক্যাপ্টেন এম আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) শাহিনুর আলম, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম সহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মোংলা বন্দরের আয়োজনে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা নাসেরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও এতিম খানায় দুঃস্থ ও এতিম শিশুদের মাঝে খাবার ও শেখ রাসেল দুস্থঃ প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন কেন্দ্রের শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ করেন।