ভুঁইফোড় সংগঠন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, গত কয়েকদিন আগেও দেখেছি দেশের পত্রিকায় ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল নিয়ে অনেক বড় বড় সংবাদ হয়েছে।
বাংলাদেশে ভুঁইফোড় রাজনীতির গডফাদার তো জিয়াউর রহমান। বিএনপি বলে—জিয়াউর রহমান নাকি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। তিনি তো এক দলকে পাঁচ টুকরা করেছিলেন।
সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ আয়োজিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে যুক্ত ছিলেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
এ বিষয়ে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না। বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শ মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সেটা আরও স্পষ্ট হয় ২০০৪ সালে।
সেদিন গ্রেনেড হামলা চালিয়ে খুনিদের পৃষ্ঠপোষক জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক রহমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সমূলে বিনাশ করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, সংবিধানকে হত্যা করেছে। তিনি কাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন?
গোলাম আযম চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে, জিয়ার সময় তিনি (গোলাম আজম) পাকিস্তানি পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন আর তাকে নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
রাজনৈতিক দল করতে হলে জিয়াউর রহমানের লাইসেন্স লাগবে—১৯৭৬ সালে এই ধরনের আইন করেছিলেন তিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগকে তিনি লাইসেন্স দেন নাই।
ব্যারিস্টার রুমিনের বাবা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিয়ে ডেমোক্রেটিক লীগ গঠন করেছিল। এই ডেমোক্রেটিক ভেঙে তিন টুকরা করেছিল জিয়াউর রহমান—সেই উদাহরণ তুলে ধরে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এই হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র। গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে দলকে ভেঙে টুকরা করেছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগঠনকে শক্তিশালি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর রক্তের দাগ শুকায় নাই। অনেক বেঈমান-মীরজাফর সেদিন জাতির পিতার রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। তাই আমাদের সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালি হতে হবে।
বঙ্গমাতা মুজিবের অবদান তুলে ধরে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, তিনি নীরবে সহধর্মিনী হয়ে বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করেছিলেন। যাতে করে বঙ্গবন্ধু তার সমস্ত মনোযোগ দেশের জন্য দিতে পারে। এই কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।
এই মহীয়সী নারী শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সহায়তা করেননি। প্রতিটি সন্তানকে যোগ্য সন্তান হিসেবেও গড়ে তুলেছেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশাল পরিবারকে তিনি আগলে রেখেছিলেন পরম ভালবাসায়।
বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি আবুল বাশার, মুহাম্মদ আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. শফিউল আলম শফিক, দফতর সম্পাদক এম এইচ এনামুল হক রাজুসহ অনেকে।