একদিকে খানাখন্দে সড়কের বেহাল দশা, অন্যদিকে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাসিন্দাদের। এসব দেখেও যেন না দেখার ভান করে বসে আছেন সংশ্লিষ্টরা।
লক্ষ্মীপুর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ঢাকা-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর মহাসড়ক থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত মিয়া আবু তাহের সড়ক। এটি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
খানাখন্দে বেহাল এই সড়কে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের সংস্কার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার তেরবেকী ও শিল্পী কলোনী সড়কের একই অবস্থা। এছাড়াও চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দক্ষিণ মজুপুর ফরিদ আহমদ সড়ক এলাকার বাসিন্দারা।
এটি লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের এমপি একেএম শাহাজাহান কামালের বাড়ির সড়ক হলেও বিগত কয়েক বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই সড়কে।
পৌর শহরের বাসিন্দারাদের অভিযোগ, প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা হিসেবে নাগরিকদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করছে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা। অথচ সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশায় প্রায় সারাবছরই দুর্ভোগে থাকতে হয়।
বর্ষায় জলাবদ্ধতায় এ সংকট আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। কিন্তু এমন সংকট দেখেও যেন না দেখার ভান করে আছেন পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা। মেয়র ও কমিশনারদের জানালে, তারা সড়ক গুলো এলজিইডির বলে দায় এড়িয়ে যান।
১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল আলম শিমুল বলেন, “করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে আমার ওয়ার্ডের ফরিদ আহমদ সড়ক এবং ড্রেনেজ উন্নয়নে একটি মাস্টার প্ল্যান করা আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কাজ শুরু হবে।”
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সচিব মো. আলাউদ্দিন বলেন, “অন্যান্য পৌরসভার তুলনায় আমাদের রাস্তাঘাট ও ড্রেন অনেক ভালো আছে। তবে নাগরিকদের অসচেতনতার কারণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র এম এ তাহের জানান, ইতোমধ্যে কিছু সড়কের মেরামত কাজ এবং ড্রেনের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। এসব সংকট নিরসনে ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে, তখন লক্ষ্মীপুর কেন পিছিয়ে থাকবে। তাই লক্ষ্মীপুর পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টরা শিঘ্রই যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।