প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে পার্বত্য চট্রগ্রামের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঢল নামে দর্শনার্থীদের। তবে গেল বছর থেকে সারাদেশের মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটির দর্শনীয় স্থান গুলো বন্ধ থাকায় পর্যটন খাতে নেমেছে ধস।
আর্থিক ভাবে ক্ষতিগস্ত হওয়ার পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়েছে পর্যটন শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অনেকেই।
পর্যটন কেন্দ্রের আশেপাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন টেক্সটাইলের দোকানদাররা জানায়, ট্যুরিস্ট থাকলেই আমাদের বেচাকেনা চলে। পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এখন বেচাকেনা নেই বললেই চলে।
ট্যুরিস্ট বোট চালকরা জানিয়েছেন,আমাদের জীবিকায় চলে বোট চালিয়ে। লকডাউন দেওয়ার পর থেকে পর্যটকরা আসছেনা। পর্যটক না আসলে আমাদের বোট ও চলছেনা। খুব কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের।
দিনমজুররা জানিয়েছেন, আমাদের এখানে কয়েক হাজার শ্রমিক আছে।আমরা অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।
দীর্ঘদিন হোটেল মোটেল রিসোর্ট ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন তারা। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি প্রণোদনা নিশ্চিত করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
ট্যুরিস্ট বোট-মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. রমজান আলী বলেন, গতবার করোনার সময় আমরা কিছু অনুদান পেলেও সরকারি দপ্তর থেকে এবার কোন সাড়া পাইনি।
হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আনোয়ার মিয়া বানু জানিয়েছেন, আমরা সরকারিভাবে কোন অনুদান না পেলে ব্যবসায়ীদের অবস্থা আরো অনেক খারাপ হয়ে যাবে।
করোনা মহামারীতে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে রাঙামাটির পর্যটনখাত। এমন অবস্থায় এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ও করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যটনখাতকে সাজানোর পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।