করোনার সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জে বসেছে সাপ্তাহিক পশুর হাট। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিল না।
রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে হায়দরগঞ্জ বাজারে বসেছে এই হাট। সপ্তাহে রোববার হাট বসে। শনিবার বসা দক্ষিন চরবংশী ইউপির মোল্লারহাট বাজারের পশুর হাটে বিপুল মানুষের উপস্থিতি ছিল।
তবে অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। সংবাদ পেয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালালে ক্রেতা-বিক্রেতা পালিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকাল থেকে হায়দরগঞ্জ বাজার পশুর হাটে বিভিন্ন উপজেলা থেকে কোরবানির পশু কেনাবেচা করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে কেনাবেচা।
অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে ছিল না মাস্ক। কারও কারও সঙ্গে মাস্ক থাকলেও ছিল পকেটে। অনেকের মাস্ক ছিল থুতনি নিচে। কেউ মানেনি সামাজিক দূরত্ব।
রচিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল কাদের বলেন, লকডাউনের মধ্যে সরকার ও প্রশাসন যখন স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তখন পশুর হাট বসানোর বিষয়টি দুঃখজনক। বাজারে স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কায়।
এবিষয়ে যোগাযোগ করলে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী ফোন রিসিভ করেন নি।
তবে থানার ওসি আবদুল জলিল দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। লকডাউনের প্রজ্ঞাপনে পশুর হাট নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি।
এর আগে শুক্রবার ও শনিবার ( ৯ ও ১০ জুলাই) উপজেলার কয়েকটি স্থানে পশুর হাট বসেছিল। মাস্ক না পরেই অধিকাংশ ব্যক্তি হাটে আসেন।
বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ১২ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত ২য়বার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হাট বসানোর ফলে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন নাগরিক সমাজ।