27 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

করোনা কমলেই কাউন্সিল করবে আওয়ামী লীগ

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

করোনার কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে আছে। কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এবং প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ঘরাওভাবেই তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো চালিয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের একজন সদস্য বলেছেন যে, চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতেই কাউন্সিল করার প্রস্তুতির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ তার হোমওয়ার্কগুলো করছে।

তবে কাউন্সিল অধিবেশন করা না করা নির্ভর করছে দেশের করোনা পরিস্থিতির ওপর। বর্তমানে যে করোনা পরিস্থিতি তাতে হঠাৎ করে কাউন্সিল অধিবেশন করা সম্ভব নয়।

আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ অপেক্ষা করছে করোনা সংক্রমণ কমার ওপর। করোনা সংক্রমণ কমে গেলেই আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা নিশ্চিত করেছেন।

এই সময়ে আওয়ামী লীগের বাহ্যিক রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ থাকলেও হোমওয়ার্ক বন্ধ নেই। আওয়ামী লীগ সারাদেশের সাংগঠনিক পরিস্থিতির ওপর কাজ করছে। 

আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য একজন সাংগঠনিক সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছেন এবং একজন যুগ্ম সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছেন।

তারা পারস্পরিকভাবে যোগাযোগ করে মাঠ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং মাঠ পর্যায়ে কয়েকটি বিষয়ে তথ্য উপাত্ত এবং মাঠ পরিস্থিতি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। যে সমস্ত বিষয়ে মাঠেে তথ্য নেয়া হচ্ছে তা হলো,

১. আওয়ামী লীগের কমিটি কতটুকু কার্যকর এবং কমিটিতে কারা আছেন তারা কি পুরোনো আওয়ামী লীগার নাকি নব্য আওয়ামী লীগার।

২. যে সমস্ত কমিটিগুলো আছে সেই সমস্ত কমিটিগুলোর সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এমপি`র সম্পর্ক কেমন। এই কমিটিগুলো কি এমপি`র পকেট কমিটি কিনা।

৩. যে সমস্ত কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে সেগুলোর কার্যক্রম কিভাবে চলছে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো কতটা কার্যকর।

৪. যে কমিটিগুলো আছে সেই কমিটির ভিতর কারও বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি বা অন্য রকম কোনো কিছু করার অভিযোগ আছে কিনা এবং সেই অভিযোগ থাকার পরও তারা দায়িত্বে বহাল আছে কিনা।

৫. যে কমিটিগুলো আছে সেই কমিটি বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেমন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ইত্যাদি নির্বাচনগুলোতে দলের বিরুদ্ধে বা নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে কিনা এবং দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন কিনা।

৬. আওয়ামী লীগের যে কমিটিগুলো আছে সেই কমিটিগুলোর সঙ্গে অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলোর সম্পর্ক কেমন এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো আর কমিটিগুলো মিলেমিশে কাজ করছে কিনা।

৭. জেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কি রকম পর্যায়ে আছে এবং কোন পক্ষ কি অবস্থানে আছে। 

এই সমস্ত তথ্য উপাত্তগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সেই বিচার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তারা একটি প্রতিবেদন আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে দেবেন এবং করোনা পরিস্থিতি একটু কমে গেলেই প্রথমে মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলাগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

তারপর অন্যান্য জেলাগুলো সম্মেলন হবে এবং এই ধারাবাহিকতায় জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলছেন যে, আগামী বছরের শুরুতেই তারা কাউন্সিল অধিবেশনটা করে ফেলতে চায়।

কারণ আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেছে এবং আগামী জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকারের তিন বছর পূর্তি হবে। কাজেই এখনই কাউন্সিল অধিবেশন করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করাটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

তবে আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, দেশে যদি করোনা পরিস্থিতির প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগ তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারে। 

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর