গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী ও জলাশয়ে চায়না ম্যাজিক জাল ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করায় অবাধে নিধন হচ্ছে নানা প্রজাতির মৎস্য ও জলজ প্রাণী।
যার কারনে প্রতিনিয়ত মারা পড়ছে বিভিন জাতের ডিমওয়ালা মাছ, শোল, টাকি, কৈ, পুঁটি, শিং, টেংরা, খলিশা, রিঠা, বাইন, কুঁচে, কাকরা, চেলা, চুচরা, রয়না, তেলাপিয়া, মাগুর, ছোট চিংড়ি, পাঙাশ, রুই, কাতল ও আইড় মাছের পোনা, বজুরি, পাবদা, ঢেলা ও বাইলা, বাতাসা, প্রভৃতি মাছ।
এর ফাঁদে পড়ে ব্যাঙ, সাপ, কচ্ছপ, শামুক, ছোট শামুক সহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণীরাও মারা যাচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে তাদের জীবনচক্র হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যপূর্ন জীববৈচিত্র ।
স্থানীয় লোকজন বলেন, মৎস্য বিভাগ থেকে প্রতিনিয়ত যথাযথভাবে তদারকি ও অভিযান চালিয়ে চায়না ম্যাজিক জাল ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। হাট বাজার থেকে চায়না ম্যাজিক জাল বিক্রি করা বন্ধ করতে হবে।
তা না হলে মৎস্য ও জলজ সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাবে। সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, বাজুনিয়া, কাজুলিয়া, শেওড়াবাড়ী,নিজড়া, নারকেলবাড়ী, সুরগ্রাম, বারখাদিয়াসহ বিভিন্ন বিল অঞ্চল এলাকায় চায়না মেজিক ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা হচ্ছে।
কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী, রামশীল, রাধাগঞ্জ, আমতলী, সাদুল্যাপুর, বান্ধা বাড়ি, কান্দি, কুশলা ইউনিয়নের বিভিন্ন জলাশয়ে, খালে,ডোবা জায়গায়,নালার ধারে এই চায়না ম্যাজিক জাল ব্যবহার করে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী।
কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি, রামদিয়া, রাহুথর, নিজামকান্দী, ফুকরা, তালতলাসহ অন্যান্য জলাশয়ে এই জালের ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করতে দেখা যাচ্ছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাথরঘাটা, জোয়ারিয়া, বন্যবাড়ী, রাখিলাবাড়ী, গোপালপুর,গুয়াধানা . রূপাহাটিসহ বিভিন্ন খালবিল ও জলাশয়ে এই জাল ব্যবহার করে মাছ নিধন করা হচ্ছে।
মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামের শিক্ষক নিতাই মন্ডল বলেন, আমাদের এলাকায়ও বিভিন্ন খালে বিলে ও জমিতে এই জাল পেতে ছোটবড় মাছ ধরা হয়। এজন্যই মুক্ত জলাশয়ের মাছ বর্তমানে কমে যাচ্ছে।
কোটালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে এই কারেন্ট জাল, চায়না ম্যাজিক জাল ব্যবহারের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই আমাদের অভিযান চলে। বর্ষা মৌসুমে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।