21 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

যেভাবে সঙ্কট সামলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের কথাই ধরা যাক। সকলেই মনে করেছিল এই ইস্যুতে সরকার চাপে পড়বে, এই ইস্যু সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলেছিল, সরকার এখান থেকে উদ্ধার হবে কিভাবে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবারে যখন জামিন দেওয়া হল না তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল।

জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে এমন কথা বলেছিলেন স্বয়ং পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরকম পরিস্থিতিতে সকলেই যখন উদ্বিগ্ন ঠিক সেইসময় রোববার সরকারের কৌঁসুলি জানিয়ে দিলেন যে, তারা জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করবেন না।

আর এই একটি শুভ উদ্যোগের কারণে যে অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠা ছিল তা দূর হয়ে গেল। রোজিনা ইসলাম মুক্তি পেলেন। সাংবাদিকরাও এই বিষয়টি নিয়ে এখন আর আন্দোলন করছেন না।

এই সঙ্কট উত্তরণ কিভাবে সম্ভব হলো এটি খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণতা এবং হস্তক্ষেপের ফলেই এটি হয়েছে। প্রথম দফায় যখন জামিন আবেদন করা হয়েছিল তখন সরকারের কৌঁসুলি এই জামিনের বিরোধিতা করেন।

কিন্তু এর ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী যখন বিষয়ে জানেন তখন তিনি জামিন দেওয়ার ব্যাপারে সরকার কি করতে পারে সে বিষয়টি জানতে চান।

আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে সরকার চাইলে জামিনের বিরোধিতা নাও করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী আইনমন্ত্রীকে সেরকমভাবেই নির্দেশনা দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

আর এই একটি ঘটনাই রোজিনাকে নিয়ে যে নানামুখী ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত তা বন্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এরকম ছোট ছোট অনেক উদ্যোগ অনেক জটিল, কঠিন সঙ্কটকে কাটিয়ে তুলছে। টিকার কথাই ধরা যাক না কেন।

যখন ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিল তখন প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করলেন। প্রধানমন্ত্রী জানতেন যে, এই মুহূর্তে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে টিকা আনা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হবে।

তিনি চিন্তা করেছিলেন যে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে কোথায় থেকে টিকা আনা যায়। লক্ষণীয় ব্যাপার হল যে, চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে একটি যোগাযোগ প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব টিম সবসময় রক্ষা করেছিল এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণেই বাংলাদেশ টিকা নিয়ে বড় ধরনের বিড়ম্বনায় পড়েনি। খুব সহজেই এই টিকা সঙ্কটকে সামাল দিতে পেরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ১২ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছেন। এই দেশ পরিচালনায় তিনি বিভিন্ন সময়ে ছোট-বড় নানা সঙ্কটে পড়েছেন।

আর এ সমস্ত সঙ্কটে যখন সকলে দিশেহারা, কেউ যখন বুঝতে পারছেন না যে কিভাবে এই সঙ্কট থেকে উত্তরণ ঘটবে ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রী ম্যাজিক সল্যুশন নিয়ে জাতির সামনে আসছেন।

আর এই সল্যুশন সঙ্কট শুধু মোকাবেলাই করছে না, সঙ্কটের একটি ইতিবাচক স্বস্তিদায়ক সমাধান দিচ্ছে। ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পরেই প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছিলেন বিডিআর বিদ্রোহ।

সেই বিডিআর বিদ্রোহ দমনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর যে রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এবং দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন সেই একই ধারায় তিনি নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করার মত বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন।

তিনি অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করেছেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্ত করেছেন এবং বিভিন্ন সঙ্কটে চমক দিয়ে মানুষকে আশান্বিত করেছেন, সঙ্কটের সমাধান করেছেন।

সর্বশেষ এই সঙ্কট সমাধানের নজির স্থাপন করলেন রোজিনা ইস্যুর ইতিবাচক সমাধান করে। অনেকে আশায় বুক বেধেছিল রোজিনা ইস্যু নিয়ে হয়তো সরকারকে চাপে ফেলা যাবে, কেউ কেউ সরকার পতনেরও স্বপ্ন দেখেছিলেন।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় খুব সহজেই সঙ্কট সমাধান করা গেছে। লক্ষ্য করার ব্যাপার হল যে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল এবং বিচক্ষণতার ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে যে, কোন সঙ্কট তৈরি হলে তারা জানে যে প্রধানমন্ত্রী আছেন। সঙ্কটের সমাধান হবে নিশ্চয়ই।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর