মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। প্রায় এক মাস তদন্তে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন যে, মুনিয়াকে টাকা উপার্জনের মেশিন হিসেবে ব্যবহার করতেন নুসরাত।
বিভিন্ন প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে মুনিয়াকে টাকা জোগাড় করে দেয়ার জন্য বায়না করতেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মুনিয়ার মৃত্যুর আগেও মুনিয়ার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছিলেন নুসরাত। ঐ টাকা দিয়ে এই করোনার মধ্যেও নুসরাত জমকালো বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছিল।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এটা ওপেন সিক্রেট ছিলো যে, মুনিয়ার টাকাতেই নুসরাত বিলাসবহুল জীবন যাপন করতেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নুসরাত তার স্বামীর ব্যবসার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে মুনিয়ার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল।
নুসরাতের ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবী জানিয়েছেন, বিভিন্ন অজুহাতে মুনিয়ার কাছে টাকা চাইতো। কার কাছ থেকে কিভাবে টাকা আদায় করতে হবে তাও মুনিয়াকে শিখিয়ে দিতেন নুসরাত।
এ নিয়ে ঐ বান্ধবীর সঙ্গে নুসরাতের গণ্ডগোল হয়। মুনিয়াকে ব্যবহারের কথা ঐ বান্ধবী পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশের কাছে নুসরাত অবশ্য দাবি করেছেন ঐ বান্ধবীর সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই।
মুনিয়াকে অনৈতিক কাজে প্ররোচিত করার অভিযোগ এনেছেন, তাই ভাই সবুজও। সবুজ একাধিক ব্যক্তিকে বলেছেন, ‘মুনিয়ার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিল নুসরাত।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে জরুরী প্রয়োজনে ১০ লাখ টাকা দরকার বলে মুনিয়াকে জানিয়েছিল নুসরাত। মুনিয়া এই টাকা কোথা থেকে জোগাড় করে দেবে, সে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল।
সে সময় নুসরাত বলেছিল, আমি পার্টি জোগাড় করে দেবো। এরপরই হতাশ হয়ে পরেছিলেন মুনিয়া। এই হতাশার কথা মুনিয়া তার প্রেমিক শারুনকেও জানিয়েছিল বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কিন্তু শারুনও অন্য কাজে মুনিয়াকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা আটছিলেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে। তবে তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলতে রাজী নন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
বাংলা ইনসাইডার